স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) দক্ষতা বিদেশি অতিথিদেরও মুগ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার সকালে এসএসএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে এ মন্তব্য করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘যখনই যে এসেছেন আমাদের এসএসএফের সদস্যরা এত চমৎকারভাবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন যে প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন। সকলেই তাদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।’
রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের পাশাপাশি দেশে কোনো রাষ্ট্রীয় বিদেশি অতিথি এলে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এসএসএফ।
এ বছরের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে যে ১০ দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল, এতে প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরাও শামিল হন। বিদেশি এই অতিথিদের নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব ছিল এসএসএফের ওপর।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেমন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে ব্যাপক কর্মসূচি নিই। এ সময়টাতে একদিকে যেমন করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং অন্যদিকে আমন্ত্রিত অতিথি ও তাদের সফরসঙ্গীদের নিরাপত্তা দেয়া- এটা একটা কঠিন দায়িত্ব।
‘খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সে সময় এসএসএফ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে আমাদের আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং সমস্ত আয়োজন অত্যন্ত সুচারুভাবে আমরা করতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের সফলতার মধ্যেও এসএসএফের যথেষ্ট অবদান রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে দেশে কোনো মানুষ গৃহহারা থাকবে না বলেও দৃঢ় প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আজকে যে বাংলাদেশকে জাতির পিতা মাত্র সাড়ে তিন বছরে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে রেখে গিয়েছিলেন, সেই দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এটা আমাদের ধরে রাখা এবং এগিয়ে যাওয়া দরকার। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
‘দারিদ্র্যের হার হ্রাস করা, এটা আমাদের একটা লক্ষ্য। বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, বাংলাদেশ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না।’