আলেম বা ধর্মীয় স্কলার নয়, কেবল ‘আলেম নামধারী কিছু অর্থ ও ক্ষমতালিপ্সু ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে’ বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদে হজ ব্যবস্থাপনা বিল পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করলে প্রতিমন্ত্রী তার জবাবে এ কথা বলেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো পর্যায়ের কোনো বুজুর্গ আলেম গ্রেপ্তার বা মামলার আওতায় আসেননি।’
‘যারা বুজুর্গ ব্যক্তি, যারা প্রকৃত আলেম, তারা কিন্তু মামলার আওতায় আসেননি। কেবল আলেম নামধারী কিছু অর্থ ও ক্ষমতালিপ্সু ব্যক্তি, যারা বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধে জড়িত, যারা ধর্মের নামে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কাজে জড়িত, কেবল তারাই প্রচলিত আইনের আওতায় এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইসলামের জন্য বহু কিছু করেছেন। অন্য ধর্মের জন্য একইভাবে করার চেষ্টা করছেন তিনি। আমাদের সংবিধানে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। উনি (প্রধানমন্ত্রী) বাবার নীতি-আদর্শ ঠিক রেখে অদ্যাবধি এই কাজই করে যাচ্ছেন। অথচ বিএনপিদলীয় দুজন সংসদ সদস্য যে কথাগুলো বলেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কষ্টদায়ক।’
ফরিদুল হক বলেন, অন্যায়ভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়ে থাকলে প্রধানমন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সেটা জেনেছেন এবং তাদের ছেড়ে দিতে বলেছেন। এর মধ্যে বহু আলেম-ওলামাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইন বাংলাদেশের সবার জন্য একই রকম হওয়ার কথা। একই রকম সমানভাবে আইনের প্রয়োগ চলছে।
‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয় ২৪ ঘণ্টা কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে পালন করার চেষ্টা করছি। হেফাজত যে ঘটনা ঘটেছিল, তার থেকে বাংলাদেশে স্বচ্ছতা এসেছে, নিয়মের মধ্যে এসেছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে চলার জন্য যা কিছু করার দরকার, সেই প্রক্রিয়াও প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করছেন। আমরা আলেমদের প্রতি সবাই শ্রদ্ধাশীল।’
আলেমদের নামে দুদকের চিঠি ইস্যু নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্যের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুদক থেকে নোটিশ যাওয়ার ব্যাপারে কথা এসেছে। দুদক থেকে নোটিশ কার কাছে যায়? যে অন্যায়কারী, যে দোষী, যারা দোষ করেছে, তাদের খুঁজে বের করে দুদক। তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়াই দুদকের দায়িত্ব।
‘অতএব আমরা যদি এ কথা বলি, সংসদ সদস্য সবাইকে দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত। আমি মনে করি, এই সংসদে যারা সদস্য, তাদের প্রত্যেককে অবমাননা করা হয়েছে। এ ধরনের অপমান করার দায়িত্ব বা সুযোগ কারো আছে বলে আমি মনে করি না।’