বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬০ লাখ কর্মী ১০ বছরে বিদেশ গেছেন

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২১ ১৬:০২

সংসদে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানান, ২০১১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১০ বছরে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন বিদেশে গেছেন ২০১০ সালে। সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন ২০২০ সালে।

গত এক দশকে ৬০ লাখ বাংলাদেশি দেশের বাইরে কাজ করতে গেছেন বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।

জাতীয় সংসদে মঙ্গলবার টেবিলে উত্থাপিত উত্তরে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, ২০১১ থেকে ২০২০ এই ১০ বছরে ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৩ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন বিদেশে গেছেন ২০১০ সালে। সর্বনিম্ন ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন ২০২০ সালে।

নোয়াখালী-২ আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, করোনার মধ্যে বৈদেশিক শ্রমবাজার সম্পর্কে মিশনগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সৌদি আরব, ইউএই, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ ২৫টি দেশের পরিবর্তিত কর্মসংস্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে।

ইমরান আহমদ বলেন, সেই অনুসারে দক্ষ কর্মী তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নতুন করে পোল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, উজবেকিস্তানের শ্রমবাজারে লোক পাঠানো শুরু হয়েছে। কম্বোডিয়া, সিসিলিস, চীনেও কর্মীরা যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সম্ভাবনাময় দেশগুলোর সঙ্গে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ফেরত আসা কর্মীদের রি-ইন্টিগ্রেশনের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে প্রত্যাগত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রবাসীদের সেবা দেয়া হবে। এ ছাড়াও রিটার্নিং ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এ জন্য আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে আইএলও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।

প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হবে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা হয়েছে।

ইমরান আহমদ বলেন, বিদেশে গমনেচ্ছু শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উপজেলা পর্যায়ে আরও ৭১টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী জানান, করোনায় চাকরিচ্যুত কিংবা প্রবাসে করোনায় মৃত ব্যক্তির পরিবার, বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মীদের জন্য প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগ-ঋণ দেয়ার জন্য ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডের তহবিল থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী জানান, ফেরত আসা কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ২০০ কোটি টাকা থেকে ৪ শতাংশ সুদে ৮ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৫৩ জনকে ৭০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং ৫০০ কোটি টাকা থেকে (পুরুষদের ৯ শতাংশ ও নারীদের ৭ শতাংশ সুদ) ৭ হাজার ২৭ জনকে ১৫৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। সারা দেশের ৮২টি প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের শাখা থেকে ঋণ দেয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, ১৯৯১ সালে বিদেশে নারীকর্মী পাঠানো শুরু হয়। তখন থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৯ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৯ জন নারীকর্মী বিদেশ গেছেন।

মন্ত্রী বলেন, নারীকর্মীদের পক্ষে নিয়োগকর্তা বা অন্য কোনো ব্যক্তি ব্যাংকে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। তাই তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর