কক্সবাজার সদরের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী উত্তর মুহুরীপাড়ার তিন ফসলি প্রায় ৬০ একর জমি ভরাটের বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে মাটি ভরাট বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
পাশাপাশি মাটি ভরাট কার্যক্রমের ওপর স্থিতিশীল অবস্থা জারি করেছে আদালত।
বিচারপতি মুজিবর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. সৈয়দা নাসরিন, সঙ্গে ছিলেন মো. শাহীনুজ্জামান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
কক্সবাজারে তিন ফসলি জমি ভরাট বন্ধে গত মার্চে হাইকোর্টে রিট করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছে বলে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, কক্সবাজারে তিন ফসলি জমি ভরাটের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
‘কক্সবাজারের একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে মাটি ভরাটকৃত জমির মালিকানা, জমির শ্রেণির এবং ভরাটকারীদের বৈধতাসহ সব বিষয়ে তদন্ত করে আগামী দুই মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন আদালত। একই সঙ্গে রুল জারি করে মাটি ভরাট কাজের ওপর স্থিতিশীলতা জারি করেছে।’
রিটে ভূমিসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), কক্সবাজারের পুলিশ সুপার, সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে বিবাদী করা হয়।