বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কে এই অমি

  •    
  • ১৪ জুন, ২০২১ ১৮:৫৩

অমি রাজধানীর আশকোনা এলাকার ব্যবসায়ী। সেখানে তাদের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের নামে তার একটি রিক্রুটিং এজেন্সি আছে।

চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অমি ওরফে তুহিন। সোমবার দুপুরে তাকেসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

কিন্তু কে এই অমি? তার ব্যাপারে জানতে নিউজবাংলার কথা হয় পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জিমির সঙ্গে। তিনি সেই রাতে পরীমনির সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন। ঘটনার সময় জিমিও আহত হন।

মূলত জিমির মাধ্যমেই পরীমনির কাছে তার কাজের প্রস্তাব পৌঁছান অমি।

জিমি নিউজবাংলাকে জানান, অমিকে তিনি অনেক আগে থেকেই চিনতেন। তার এক বন্ধুর বন্ধু হলো অমি।

নিউজবাংলাকে জিমি বলেন, ‘অমির সঙ্গে মাঝখানে অনেক দিন ধরেই আমার যোগাযোগ ছিল না। দুই বছর ধরে আবার আমাদের যোগাযোগ শুরু হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘অমি রাজধানীর আশকোনা এলাকার নামকরা পরিবারের ছেলে। ওখানে ওদের একনামে সবাই চেনে।’

আশকোনায় অমিদের একাধিক ব্যবসা রয়েছে। যার মধ্যে জিমি শুধু বলতে পেরেছেন সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টারের নাম।

ফেসবুকে এই নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পেজ রয়েছে। সেখান থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিদেশে লোক পাঠানো হয়। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য এ প্রতিষ্ঠান থেকে ট্রেনিংয়ের বিজ্ঞাপন দেয়া আছে ফেসবুক পেজটিতে।

ফেসবুক পেজে কয়েকটি ফোন নম্বর রয়েছে। সেখান থেকে তিনটি নম্বরে ফোন করলেও কেউ তা রিসিভ করেননি।

জিমি বলেন, ‘দুই বছর আগে যোগাযোগ শুরু হওয়ার পর অমি কিছু প্রজেক্ট নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কিছু বিনিয়োগ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন আমার কাছে।’

রোববার রাতে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর পরীমনি গণমাধ্যমের সামনে এসে বিস্তারিত খুলে বলেন।

তিনি জানান, অমি তার সঙ্গে একটি কাজের প্রস্তাব নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ করছিলেন। তার সেই কাজের জন্য আলোচনা করতেই তিনি বুধবার রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে যান। এরপর সেখানেই ঘটে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

ঢাকার বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাব, যেখানে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে তিনি মামলায় বলেছেন

পরীমনি সেই রাতেই ধারণা করেন, পুরো ঘটনাটিই পরিকল্পিত। আর এর নেপথ্যে থাকতে পারেন অমি।

সকালে পরী যে মামলা করেন, তাতে প্রধান আসামি হিসেবে নাসিরের নাম উল্লেখ করেন। দ্বিতীয় নামটিই ছিল অমির। তবে তিনি এহাজারে লেখেন তুহিন বলে।

অমি এই নামেও পরিচিত।

তবে অমির সঙ্গে পরীমনির কখন, কোথায়, কীভাবে পরিচয়, সেই বিষয়টি এখনও খোলাসা হয়নি। সেই রাতে পরীর সঙ্গে থাকা জিমিও এই বিষয়টি নিয়ে এখন কিছু বলতে চাইছেন না।

তবে গত রাতে পরীমনি গণমাধ্যমের সামনে আসার পর অমির ফেসবুক আইডি বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানান জিমি। পরে তিনি নাসিরের সঙ্গেই গ্রেপ্তার হন।

এ বিভাগের আরো খবর