করোনা পরিস্থিতিতে যখন আত্মীয়স্বজনও ত্যাগ করে চলে গেছেন, তখন দায়িত্বের বাইরে গিয়ে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই করোনা মহামারিতে পুলিশ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাকাডেমিতে তিনি এ কথা বলেন। সেখানে ৩৮তম বহিরাগত ক্যাডেট উপপরিদর্শক (এসআই) ২০২০ ব্যাচের এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আইজিপি বলেন, ‘জনগণের সাংবিধানিক ও আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার বিভিন্ন আইনকে সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী করেছে। জনগণকে আইনি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সদস্যদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীসহ সব সেবাপ্রত্যাশী জনগণের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।’
বেনজীর আহমেদ জানান, অপরাধ ও কৌশল মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষমতা অর্জন একটি মাইলফলক। ফরেনসিক, ডিজিটাল ফরেনসিক, ডিএনএ পরীক্ষা, আইপিডিআর অ্যানালাইসিস, সাইবার ক্রাইম, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, নারী ও শিশু ডেস্ক, বিট পুলিশিং, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এবং অন্যান্য আরও সেবা চালু করেছে। ফলে দেশের পুলিশ বিভাগ আরও উন্নত হচ্ছে।
এর আগে আইজিপি ৩৮তম বহিরাগত ক্যাডেট এসআই-২০২০ ব্যাচের এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
প্যারেডে ৫৭ জন নারীসহ ১ হাজার ২৩১ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন। প্যারেড পরিদর্শন শেষে আইজিপি বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
প্রশিক্ষণে ছেলেদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট নির্বাচিত হন তানভীর আহমদ। শ্রেষ্ঠ মেয়ে ক্যাডেট নির্বাচিত হন নাসরিন সুলতানা জ্যোতি।
এ ছাড়া অ্যাকাডেমিক বিষয়ে কামরুল হাসান, প্যারেড বিষয়ে অলক বিহারী গুণ, পিটি ও বাধা অতিক্রম বিষয়ে আবদুল কাদির খন্দকার ও মাসকেট্রি বিষয়ে নাজমুস সাকিব শ্রেষ্ঠ ক্যাডেট নির্বাচিত হয়েছেন।