ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরই মধ্যে নথি নিয়ে রাজধানীর রূপনগর থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা পৌঁছেছেন সাভার থানায়।
তবে এ বিষয়ে সাভার থানার ওসি (অপারেশন) আল আমিন তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। সম্ভবত এটার বাদী পরীমনি। তবে এখনও মামলা হয়নি।’
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রোববার রাত ৮টার দিকে এক স্ট্যাটাসে পরীমনি জানান, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগ আনেন হত্যাচেষ্টারও।
সাংবাদিকদের কাছে পরীমনি দাবি করেন, তিনি অভিযোগ নিয়ে বনানী থানায় গিয়েছিলেন। তবে বনানী থানার ওসি নূরে আজম রোববার রাত ১২টার দিকে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন কোনো অভিযোগ আমাদের থানায় আসেনি।’
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনার পর সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন পরীমনি।
তিনি জানান, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরা বোট ক্লাবে। নাসির উদ্দিন নামে একজন তাকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে এই ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন।
নাসির ইউ মাহমুদ বা নাসির উদ্দিন মাহমুদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তিনি কুঞ্জ ডেভলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান। উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছিলেন লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান।
তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরীমনির বাসার নিরাপত্তা জোরদার
পরীমনি ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগের পর নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার রাজধানীর বনানীর বাসার সামনে সোমবার সকাল থেকে অবস্থান করছে পুলিশের ৫ সদস্যের একটি দল।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘নায়িকা পরীমনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
‘পরবর্তী সময়ে তার কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা নিশ্চয়ই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।’