চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় মামলায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য বাবুল-মিতু দম্পতির দুই সন্তানকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালত রোববার বিকেল ৪টার দিকে এ আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার জিআরও উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে জানান, মিতু ও বাবুল আকতারের দুই সন্তান তার দাদা, চাচার জিম্মায় আছে। যেহেতু মিতু হত্যার সময় তার ছেলে সঙ্গে ছিল তাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা দুই সন্তানের সঙ্গেই কথা বলতে চান।
পাশাপাশি তাদেরকে মামলার স্বাক্ষী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে চান। এজন্য তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেন।
আদালত আবেদন আমলে নিয়ে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।
ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুল আকতারকে দায়ী করে আসছিলেন।
শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়।
গত ১১ মে বাবুল আকতারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলার জন্য ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই।
ওইদিনই দুপুরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলসহ আট জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বর্তমানে কারাগারে আছেন বাবুল আকতার।