দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়ার পর থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে শনাক্ত ও মৃত্যুর বেড়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় একক জেলা হিসেবে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যু হয়েছে রাজশাহীতে। মারা গেছেন ১১ জন।
এই সময়ে মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৩৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
করোনা শুরুর দিকে বিভাগীয় জেলায় হিসেবে মৃত্যুর দিক ধেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা। এমন অবস্থায় প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ পার হয়েছে। তবে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জেলাতে শনাক্ত ও মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, বিভাগ অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ১০ জন।
এ ছাড়া ঢাকা বিভাগে ৮ জন, খুলনায় ৭, রংপুরে ৪, বরিশাল দুই ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সম্প্রতি রাজশাহী ও খুলনার সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। শুক্রবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলার ৮ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬ জন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।