দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত চার মাসে বজ্রাঘাতে ১৭৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে ১২২ জনই কৃষক। এ সময়ের মধ্যে আহত হয়েছেন আরও ৪৭ জন।
শুক্রবার সকালে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের পক্ষ থেকে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়।
বজ্রাঘাতে হতাহতের এই পরিসংখ্যান করা হয়েছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে।
ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কালবৈশাখীর মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন ১৫ জন। ঘরে অবস্থানকালে মারা গেছেন ১০ জন। নৌকায় মাছ ধরার সময় বজ্রাঘাতে প্রাণ ঝরেছে ছয়জনের। মাঠে গরু আনতে গিয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। মাঠে খেলা করার সময় তিনজন ও বাড়ির আঙিনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ভ্যান-রিকশা চালানোর সময় দুজন এবং গাড়ির ভেতরে অবস্থানকালে মৃত্যু হয়েছে একজনের। অন্যদের মৃত্যু কোথায় হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ছাড়া অন্যদিকে চলতি বছর বজ্রাঘাতে পুরুষ মারা গেছেন ১৪৯ ও নারী ২৮ জন। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৩, কিশোর ৬ ও কিশোরী রয়েছে ৩ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রাঘাতে হতাহতের কোনো ঘটনা না থাকলেও মার্চ মাসের শেষের দিন থেকে মৃত্যুর ঘটনা শুরু হয়। এরপর থেকে চলতি জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মারা যায় ১৭৭ জন।
এ বছর বজ্রাঘাতের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এই জেলায় চলতি বছরের গত মে ও জুন মাসেই মারা গেছে ১৮ জন। এ ছাড়া চলতি বছরের চার মাসে জামালপুরে ১৪ জন, নেত্রকোণায় ১৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কীটতত্ত্ব বিভাগ ও বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, প্রকৌশলী ড. মুনির আহমেদ, রিসার্চ ফেলো, আইডিইবি রিসার্চ ও টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট মো. মনির হোসেনসহ অনেকে।