বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যেভাবে বিয়ের পিঁড়িতে রেলমন্ত্রী

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ১৫:২৫

‘আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকে। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে। আইন বিষয়ে পরামর্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় সে। আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন তাদের বিয়ে হয়।’

প্রবীণ রাজনীতিক মুজিবুল হক রেলমন্ত্রী থাকাকালে বিয়ে করে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন। সেই পথেই হাঁটলেন বিপত্নীক বর্তমান রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

মন্ত্রী বিয়ে করতে যাচ্ছেন বা বিয়ে করে ফেলেছেন- এমন খবর আগেই এসেছে গণমাধ্যমে। এবার বিয়েটা কীভাবে হলো তা জানা গেল কনে শাম্মী আক্তার মনির ভাইয়ের বরাতে।

শাম্মীর বাড়ি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায়। তবে থাকেন রাজধানীর উত্তরায়। চাকরি করতেন ঢাকায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে।

চাকরির পাশাপাশি আইন পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করতে থাকেন শাম্মী। একপর্যায়ে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে কাজও করতে থাকেন।

মন্ত্রী নিজেও একজন আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টে তার নামডাকও আছে বেশ। আর তার কাছ থেকে অভিজ্ঞ পরামর্শ নিতে গিয়ে দেখা দুজনের।

খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। দিন বিশেক আগে পরিচয় দুজনের।

মন্ত্রী তার জীবনসঙ্গিনীকে হারিয়েছেন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে। আর শাম্মীও বিচ্ছেদের পর থেকে একা।

পরস্পরকে ভালো লেগে যায়। আর একপর্যায়ে তারা সিদ্ধান্ত নেন হাতে হাত রাখার।

এই বয়সে উদ্দাম প্রেম তো মানায় না। তাই বিয়েটাও হয়ে গেল কদিন যেতে না যেতেই।

গত ৫ জুন ঢাকার হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবন তন্ময়ে পারিবারিকভাবেই হয় বিয়ে।

দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার জামাই হলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ছবি: নিউজবাংলা

কনে শাম্মী আক্তারের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম মিলন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকে। সে আইন বিষয় পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে এক সিনিয়রের সঙ্গে প্র্যাকটিস করছে।

‘আইনি বিষয়ে পরামর্শ নিতে ২০ দিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় সে। আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে গত ৫ জুন তাদের বিয়ে হয়।’

বিয়েতে ছিলেন মিলন নিজেও। বরপক্ষে ছিলেন বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী। কনেপক্ষে মিলন ছাড়াও ছিলেন তার আরেক ভাই।

বিয়ের মধ্যস্থতা করেছেন বিরামপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র লিয়াকত আলী টুটুল। তিনি বলেন, ‘আলোচনা ঢাকায় ওরা শুরু করেছে। কিন্তু আমি মেয়ের পক্ষ থেকে ঘটকের দায়িত্ব পালন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রীর পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তখন মেয়ের পক্ষ থেকে আমাকে ঘটকের দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছিল। আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি।’

শাম্মীর বাবার বাড়ি বিরামপুর উপজেলা নতুন বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে।

দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে শাম্মী আক্তার মেজো।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (পিডিবি) লাইনম্যান পদে চাকরির সুবাদে আব্দুর রহিম বিরামপুরে আসেন। তারপর সেখানে নতুন বাজার এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করে স্থায়ী হন।

নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

বিশিষ্ট আইনজীবী ৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলামের বাড়ি পঞ্চগড়ে। পঞ্চগড়-২ (বাদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর রেলমন্ত্রী হন তিনি।

শাম্মী আক্তারেরও এটি দ্বিতীয় বিয়ে।

মিলন জানান, কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল তার বোনের। কিন্তু বনিবনা হয়নি। ২০১১ সালে বিচ্ছেদ ঘটে। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন শাম্মী। চাকরির পাশাপাশি আইন পেশায় নিজেকে তৈরি করতে থাকেন।

রেলমন্ত্রী আগের দিন যা বলেন

বৃহস্পতিবার মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার। বিয়ে যে তিনি করে ফেলেছেন, সেটি অবশ্য জানাননি। হাসতে হাসতে বলেন, ‘বিয়ের চাঁদ উঠছে উঠছে করছে।’

কবে আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ?-এমন প্রশ্নে কিছুটা রহস্য রেখেই তিনি বলেন, ‘সূর্য যখন উঠবে বা চাঁদ যখন উঠবে, তখন আপনারা সবাই দেখবেন। এখন চাঁদ উঠবে উঠবে করছে। হা হা হা…।’

বিয়ে নিয়ে কথোপকথনের এই কথা প্রকাশের অনুমতিও দিয়েছেন মন্ত্রী।

এর আগের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ৬৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। চিরকুমার সংঘের সদস্য এই রাজনীতিকের ওই বিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর