বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যাসিনোকাণ্ড: এনু-রূপনের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ০০:৩০

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা এনু ও রূপম, তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি স্বর্ণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এগুলো জুয়ার টাকায় তৈরি সম্পদ বলে ওই সময় র‌্যাব জানিয়েছিল।

ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রূপন ভূঁইয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রায় ৮৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিল দুদক।

বৃহস্পতিবার কমিশনের সভায় দুই মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয় বলে দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান।

তিনি বলেন, ‘এক মামলার তদন্তে আসামি এনামুল হক এনুর বিরুদ্ধে ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

‘এনুর দুই সহযোগী হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদ প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে এনুকে সহযোগিতা করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।’

অপর মামলার তদন্তে রূপন ভূঁইয়ার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৪২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে জানিয়ে দুদক সচিব বলেন, ‘এসব সম্পদের মধ্যে ৫ কোটি ৩৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার সম্পদ অর্জনের বৈধ উৎস্য পাওয়া গেলেও বাকি ৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৮৭ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।’

আসামি রূপন ভূইয়া এসব সম্পদ ক্যাসিনো ব্যবসা এবং বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

এনু ও তার দুই সহযোগী হারুনুর রশীদ ও আবুল কালাম আজাদকে আসামি করে মামলাটি করেছিলেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। পরে তিনি নিজেই এ মামলার তদন্ত করেন।

মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে ২১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন করার।

অপরদিকে রূপন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী। পরে বাদী নিজেই এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান।

রূপনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ১৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ করেছেন।

২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের তৎকালীন ওই দুই নেতা, তাদের এক কর্মচারী ও এক বন্ধুর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকা, আট কেজি স্বর্ণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। এগুলো জুয়ার টাকায় তৈরি সম্পদ বলে ওই সময় র‌্যাব জানিয়েছিল।

এনু ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের একজন শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। এ ছাড়া তিনি গেণ্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়া থানা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কয়েকজন নেতার ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।

এর পর ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওই সময় ক্যাসিনো ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা করেছিল সংস্থাটি।

এ বিভাগের আরো খবর