বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি নয়’

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৭:৪৫

‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক বাংলাদেশের। এটা কেবল ফিলিস্তিনি সরকারের সঙ্গে নয়, সে দেশের জনগণের সঙ্গে। ফিলিস্তিন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ।’

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত, ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকবে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও দুই রাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের কাছে জরুরি ওষুধসামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মোমেন বলেন, ‘ফিলিস্তিনের সঙ্গে আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক বাংলাদেশের। এটা কেবল ফিলিস্তিনি সরকারের সঙ্গে নয়, সে দেশের জনগণের সঙ্গে। ফিলিস্তিন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলকে গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ।

‘শুধু আমাদের সরকার নয়, আমাদের দেশের মানুষেরও তাদের (ফিলিস্তিন) জন্য সিমপ্যাথি রয়েছে। তাই সম্প্রতি আমাদের জনগণ তাদের দূতাবাসে গিয়ে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। ফিলিস্তিন আমাদের বড় বন্ধু।

‘আমাদের জাতির পিতার সময় থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে আমাদের আত্মার আত্মীয় সম্পর্ক। আমরা বিশ্বাস করি যতদিন স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হবে, আমরা ততদিন তাদের সঙ্গে আছি এবং আমরা ইসরায়েলকে গ্রহণ করব না। আমরা এখনও তাদের স্বীকৃতি দিইনি।’

মোমেন আরও বলেন, ‘একদিন ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে। সে দেশের মানুষের দুর্ভোগ কমবে। যদিও তারা (ইসরায়েল) বারবার আমাদের অ্যাপ্রোচ করেছে, যতদিন আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের স্বীকৃতি দেব না। আমরা বিশ্বাস করি ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হবে।’

সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ২১ মে থেকে কার্যকর হওয়া এ রকম এক যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ১১ দিনের ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের আপাত বিরতি হলো। প্রতিবারের মতো প্রায় একতরফা যুদ্ধে এবার কমপক্ষে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ জন শিশু। আর গাজা থেকে নিক্ষেপ করা রকেট বা মিসাইলে ইসরায়েলি নিহত হয়েছে ১২ জন। এর মধ্যে শিশু আছে দুজন।

চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশকে সরকারি সাহায্য পাঠানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণও অনুভূতির জায়গা থেকে দেশটির জন্য সাহায্য পাঠাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা করোনার মধ্যে অন্য দেশগুলোকে সরকারি সাহায্য পাঠিয়েছি। কিন্তু ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি জনগণও সাহায্য পাঠাচ্ছে।’

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে ১৪০০ কেজি ওষুধ দেয়া হচ্ছে। এসব ওষুধের মূল্য ৪০ লাখ টাকা।

জবাবে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর গাজায় যে যুদ্ধ হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটি কঠিন সময় পার করছে। কঠিন সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে থাকায় বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারকে কখনও ভুলব না। এই ভালোবাসার কী জবাব হয়, কোন ভাষায় তা বর্ণনা করা যায়, তা আমার জানা নেই।

‘কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার মতো শব্দ আমার অভিধানে নেই। আমরা এই সহযোগিতার কথা কখনও ভুলব না। আর এটাই হচ্ছে আমাদের দুই দেশের জনগণের গভীর সম্পর্ক। গত ৫০ বছর থেকে আমাদের সম্পর্ক আরও দূঢ় হচ্ছে।’

দেশটির জন্য আরও জরুরি ওষুধ প্রয়োজন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত রামাদান।

এ বিভাগের আরো খবর