বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিআইবির দরকার আছে: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৯ জুন, ২০২১ ১৮:৫৬

‘টিআইবি বিভিন্ন সময় যে গবেষণার কথা বলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গবেষণা না করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে, সেটিকে গবেষণা বলে চালিয়ে দেয়, এটি সমীচীন নয়। যেসব দেশ থেকে টিআইবি ফান্ড পায়, সেসব নিয়ে তাদের কখনো কিছু বলতে দেখিনি। বাংলাদেশ ও দরিদ্র দেশগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।’

দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) শাখা গবেষণা না করে প্রতিবেদন দেয় বলে অভিযোগ করার পরেও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই সংগঠনের মতো প্রতিষ্ঠানটির দরকার আছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলো থাকার দরকার আছে। তারা স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করবে, এটিই স্বাভাবিক। আমরাও চাই সেটি।’

অবশ্য একই অনুষ্ঠানে টিআইবির প্রতিবেদনের কঠোর সমালোচনাও করেন তিনি। বলেন, ‘টিআইবি বিভিন্ন সময় যে গবেষণার কথা বলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গবেষণা না করে একটি রিপোর্ট তৈরি করে, সেটিকে গবেষণা বলে চালিয়ে দেয়, এটি সমীচীন নয়। যেসব দেশ থেকে টিআইবি ফান্ড পায়, সেসব নিয়ে তাদের কখনো কিছু বলতে দেখিনি। বাংলাদেশ ও দরিদ্র দেশগুলো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।’

বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

টিআইবির গবেষণার দুর্বলতা তুলে ধরে নিজের একটি অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন মন্ত্রী। বলেন, ‘আমি একটি ঘটনার উদাহরণ দিই। আমি যখন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে এলাম ২০১০ সালের শুরুতে, টিআইবি ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর এসেছিলেন বাংলাদেশে। আসার পর আমাকেও সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বলা হলো, একটি বই প্রকাশ করা হবে। বন বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে।

‘আমি নিজেও গেছি সেখানে। প্রকাশ হলো। অনেক বিদগ্ধজন উপস্থিত ছিলেন। বলা হলো, সুন্দরবনে প্রতিবছর কয়েক শ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। কিন্তু বিষয়টিকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হলো, তখন মনে হয় দুর্নীতিটা হচ্ছে।

‘কিন্তু তথ্য-উপাত্ত যা আছে, সেগুলো হলো ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালের। ওই সময়ের তথ্য নিয়ে ২০১০ সালে যখন বলা হয় সুন্দরবনে শতকোটি টাকার দুর্নীতি হয়। সেটা বলতে হয় স্পষ্টভাবে যে, ওই সময়ের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এটি তৈরি করা হয়েছে, সেই সময়ে আমরা এ রকম পেয়েছি। অথচ সেটি বলা হয়নি। এ রকম আরও বহু ঘটনা আছে।’

রোজিনা প্রসঙ্গ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে টিআইবির মন্তব্যের সমালোচনা করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘রোজিনার ঘটনাটি অনভিপ্রেত। দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহের একটা নিয়ম আছে। দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য চুরি এক জিনিস নয়। আমরা সংগ্রহ ও চুরির মধ্যে পার্থক্য ভুলে গিয়ে এটিকে অনেকে গুলিয়ে ফেলেছি।’

আওয়ামী লীগ সরকার তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তথ্য কমিশন গঠন করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি বা যেকোনো অফিসে দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করার জন্য যেকোনো নাগরিক আবেদন করতে পারেন। সেটি না পেলে তথ্য কমিশন আছে। তখন তথ্য কমিশনের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। তখন তথ্য কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্য সংগ্রহের জন্য বলে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি কোনো গাফিলতি করে, অনেক সময় তথ্য কমিশন জরিমানা ছাড়াও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।’

তথ্য কমিশন ১ লাখ ২০ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করেছে বলেও জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মন্ত্রীর পদে থেকেও কোনো অফিসে গিয়ে বিনা অনুমতিতে কোনো গোপনীয় তথ্য নিয়ে নিলে আমি অপরাধী। সে ক্ষেত্রে সেই অফিসের কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে যেকোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। সে তথ্য কোনো রাষ্ট্রীয় গোপন নথি হলে সেই অপরাধটা আরও বড়।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রত্যেক মন্ত্রীকে মন্ত্রী হিসেবে শপথের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিতে হয়। আমি টিআইবির বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। টিআইবি তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য চুরি দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেছে।’

টিকা নিয়ে মন্তব্যের জবাব

সরকার একটিমাত্র উৎসের ওপর নির্ভর করেছে বলে টিআইবির দাবি অসত্য বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘একটি সূত্রের ওপর নির্ভর বাংলাদেশ করেনি। যেখান থেকে টিকা পাওয়ার সম্ভবনা ছিল, সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু যখন টিকা বাজারে এলো, সব দেশ নিজেদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেছে।

‘সিরাম ইনস্টিটিউট প্রথমে এগিয়ে আসে। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কারণে চীন থেকে টিকা এসেছে, অন্য দেশ থেকে টিকা আসছে।’

এর আগে ১ হাজার ৩০০ ছবি নিয়ে ‘ছবির ভাষায় মহানায়ক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্যমন্ত্রী।

বর্ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসরীন হোসেন লুইজার সম্পাদনায় এই অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর