কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার কক্সবাজারে রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে মাহবুব আলী বলেন, ‘কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হওয়ার পর দেশি-বিদেশি পর্যটকরা কক্সবাজারে সহজে যাতায়াতসহ নানাবিদ পর্যটন সুবিধা পাবেন।’
পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের খুরুশকুলে শেখ হাসিনা টাওয়ার নির্মাণ ও পর্যটন সুবিধা প্রবর্তন প্রকল্পও ঘুরে দেখেন তিনি।
এর আগে, সমুদ্রের মধ্যে মাটি ফেলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের জন্য গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের বর্তমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট। এতে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে আরও ১ হাজার সাতশ ফুট। সম্প্রসারিত হতে যাওয়া রানওয়ের ১ হাজার তিনশ ফুটই থাকবে সমুদ্রের উপর। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ল্যান্ড রিক্লেমেশন প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারিত হবে এ রানওয়ে।
সাধারণত এ প্রক্রিয়ায় সমুদ্রের তলদেশে ব্লক তৈরি করে এর উপর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। দেশে এই প্রথম কোনো বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে এ প্রক্রিয়ায়।
প্রকল্পটির পুরো অর্থায়ন করছে বেবিচক। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। গত ৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া হিসেবে এই সম্প্রসারণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এই বিমানবন্দরে বোয়িং ট্রিপল স্যাভেন ও বোয়িং স্যাভেন ফোর স্যাভেন মডেলের সুপরিসর উড়োজাহাজও ওঠা-নামা করতে পারবে।
রানওয়ে সম্প্রসারণ ছাড়াও কক্সবাজার বিমানবন্দরে এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম স্থাপন, ইন্সট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম স্থাপন, নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ ও বাঁকখালী নদীর উপর সংযোগ সেতু নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলছে।