স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ থাকা মাকসুদা সুলতানা পলি তার দাপ্তরিক কাজ করে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দেখা গেছে।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গলা চেপে ধরার অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অফিস সহকারী পলির বিরুদ্ধে।
কবে তিনি যোগ দিয়েছেন সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা মুখ না খুলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
পলির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মুহিবুর রহমান পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘গলা চেপে ধরা কি সত্য?’
তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আরগুমেন্টের কিছু নেই৷ আদালতে আছে, বিচারাধীন বিষয়।’
ওই ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠন করা কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে মাকসুদা সুলতানা পলি সম্পর্কে কোনো অবজারভেশন দেয়া হয়েছে কি না সেটাও জানা যায়নি।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিবুর বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে কিছু থাকলে থাকতে পারে। সেটি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত ১৭ মে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে।
সেদিন একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রোজিনা। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। রাতেই তার বিরুদ্ধে নথি চুরির অভিযোগ এনে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়।
পরদিন সকাল রোজিনাকে আদালতে নেয়া হয়। বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয় তাকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার রোজিনাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। বিচারক রিমান্ড নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ২৩ মে জামিনে মুক্তি পান রোজিনা।