বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আনসার আল ইসলামের সদস্য সোহেল রিমান্ডে

  •    
  • ৭ জুন, ২০২১ ১৮:২৫

ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে সোহেলকে গ্রেপ্তার করে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলাম দেশে লেখক ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ আছে।

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার সোহেল ওরফে শফিউল্লাহ নামের এক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ।

সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম নিভানা খায়ের জেসী শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের এসআই টিটু চন্দ্র ঘোষ আসামিকে আদালতে হাজির করে বাড্ডা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধ আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেত রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

৬ জুন রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা এলাকার আলাতুন্নেসা স্কুল রোডের একটি দোকান থেকে মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন, বেশ কিছু উগ্রবাদী মতাদর্শের বই ও চারটি হাতে লেখা ডায়েরি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক আল আমিন বাড্ডা থানায় বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার আল ইসলাম শুরুতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে সরকার আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করলে সংগঠনের সদস্যরা নাম পাল্টে আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা শুরু করেন। পরে ২০১৭ সালের ৫ মার্চ আনসার আল ইসলামও নিষিদ্ধ করা হয়।

সংগঠনটি বাংলাদেশে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক ছাড়াও সমকামী ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। ব্লগার রাজীব হায়দার, অভিজিত রায় ও ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যার দায়ে সংগঠনটির অনেক নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটি একসময় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে এবং নিজেদের আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ বলে দাবী করে।

২০১৬ হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার পর পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে প্রথম সারির বেশিরভাগ নেতাই ধরা পড়েন। এরপর সংগঠনটির তৎপরতা কমে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর