সৌদিগামী প্রবাসী কর্মীদের হোটেল কোয়ারেন্টিন খরচের সরকারি ভর্তুকির টাকা সরাসরি তাদের মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক হিসাবে জমা হবে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
রোববার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ভর্তুকির ২৫ হাজার টাকা প্রবাসী কর্মী বা মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক একাউন্টে দেয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সৌদিগামী যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করেছে বা করবেন, তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি প্রদান করা হবে।
‘প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে এ ভর্তুকি দেয়া হবে। কোয়ারেন্টিন পালন করা কর্মী বা তার মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা পাঠানো হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট www.wewb.gov.bd অথবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট www.bmet.gov.bd হতে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে কিংবা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে।
সোমবার থেকে ফ্লাইটের দিন বহির্গমনের আগে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে পূরণকৃত আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রের সঙ্গে যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে সেগুলো হলো-
# জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক প্রদত্ত স্মার্টকার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের ফটোকপি।
# পাসপোর্টের প্রথম চার পৃষ্ঠার ফটোকপি
# পাসপোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত ভিসার ফটোকপি
# টিকেটের ফটোকপি
# হোটেল বুকিংয়ের ডকুমেন্টের ফটোকপি
সৌদি প্রবাসীদের যেসব কর্মী ইতোমধ্যে সৌদি চলে গেছেন এবং নিজ খরচে কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছেন তাদেরকেও একই নিয়মে আবেদনপত্র পূরণ করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সৌদির রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস বা জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ডাকযোগে জমা দিতে হবে।