বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুর চার খুনির খেতাব বাতিল

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ১৮:০৮

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ অন্য শহিদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত এবং আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘৃণ্য এই চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব থাকা জাতির জন্য লজ্জাজনক। সে জন্য এই গেজেটের মধ্য দিয়ে তা বাতিল করা হয়েছে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যায় জড়িত এবং আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আত্মস্বীকৃত খুনির বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্রনাথ দত্তের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

যারা খেতাব হারিয়েছেন তারা হলেন: লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম গেজেট নং ২৫), লে. কর্নেল এস এইচ এম এইচ এম বি নুর চৌধুরী (বীর বিক্রম গেজেট নং ৯০), লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক গেজেট নং ২৬৭) ও নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক গেজেট নং ৩২৯)।

এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ অন্য শহিদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত এবং আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘৃণ্য এই চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব থাকা জাতির জন্য লজ্জাজনক। সে জন্য এই গেজেটের মধ্য দিয়ে তা বাতিল করা হয়েছে।’

এ বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২তম সভায় এই চার খুনির খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে তার ধানমন্ডির বাসায় সপরিবারে হত্যা করা হয়। তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় প্রাণে বেঁচে যান দেশের বাইরে থাকায়।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তাদের মধ্যে ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচ জনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। তারা হলো- সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), এ কে বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিন (আর্টিলারি)।

বাকি সাত খুনির এক জন আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যান। আরেক খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদ হঠাৎ ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল ঢাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার ফাঁসি কার্যকর হয় গত ওই বছরের ১১ এপ্রিল।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খানের পাশাপাশি পলাতক রয়েছেন খন্দকার আবদুর রশিদও।

বাকি ছয় খুনির মধ্যে দুই জনের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত সরকার। এদের মধ্যে এ বি এম এইচ নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে নানা চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। ট্রাম্প আমলে এ বিষয়ে অগ্রগতিও হয় খানিকটা। তবে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ডালিমের মতো রশিদের অবস্থানের বিষয়েও নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।

এ বিভাগের আরো খবর