বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল

  •    
  • ৫ জুন, ২০২১ ১৮:৪৯

‘কোভিডের আগ্রাসনে সারাবিশ্ব যখন থমকে ছিল তখনও একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে দেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ আশাবাদের কথা জানান তিনি।

মাহবুব আলী বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এগিয়ে আছি। ২০২১ সালের জুনে এই টার্মিনালের ১৪ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আজ পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ১৭ ভাগ।

‘কোভিডের আগ্রাসনে সারাবিশ্ব যখন থমকে ছিল তখনও একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘এই টার্মিনালের আকার হবে বর্তমান বিমানবন্দরের দুই গুণেরও বেশি। টার্মিনালের সঙ্গেই আশকোনার হজক্যাম্প থেকে একটি টানেল যুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে সম্মানিত হাজিরা হজক্যাম্প থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন।

‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বহুমাত্রিক নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে পা রেখেছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে দৃষ্টিনন্দন এই তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হচ্ছে। এই টার্মিনালের সঙ্গে থাকবে মেট্রোরেল সংযোগ। টার্মিনালটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড। দৃষ্টিনন্দন এই বিমানবন্দরে পা রেখেই একজন বিদেশি বাংলাদেশের সৌন্দর্য অনুধাবন করতে পারবেন।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। ছবি: নিউজবাংলা

এর আগে দুপুরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ এলাকায় এলে বিমান প্রতিমন্ত্রীকে কাজের অগ্রগতির বিষয়ে অবগত করেন সাইট ম্যানেজাররা।

২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কাজের উদ্বোধন করেন।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি উড়োজাহাজ রাখার উপযোগী অ্যাপ্রোন বা পার্কিং এলাকা তৈরি করা হচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনাল ভবনটি হবে দুই লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। এর ভেতর আধুনিক সব সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

এছাড়াও তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে মেট্রোরেলের একটি সংযোগও থাকবে, থাকবে একটি স্টেশনও। এর ফলে বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি মেট্রোরেলে করে নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে বা আসতে পারবেন যাত্রীরা।

এ বিভাগের আরো খবর