এ বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টি ছিল না বললেই চলে। মে মাসেও স্বাভাবিকের চেয়ে ২৬ দশমিক ৬ ভাগ বৃষ্টি কম হয়েছে। তবে জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এ মাসে গরম কমবে। এর সঙ্গে থাকবে কিছু মাঝারি ঝড়-বৃষ্টিও।
মৌসুমি বায়ু এখনও দেশে পৌঁছায়নি। মে মাসের ৭ তারিখ এটি টেকনাফে থাকবে। ধীরে ধীরে সেটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তবে এর জন্য জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
মৌসুমি বায়ুর আগমনের আগে দেশে মে মাসে গড়ে ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও এবার হয়েছে ২০৩ মিলিমিটার। জুন মাসে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রায় ৪৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, এ মাসে অন্য মাসের মতো তীব্র গরম থাকবে না। আবার কালবৈশাখীর প্রভাবও নেই। তবে বর্ষাকালের যে বৃষ্টি, সেটি আরও কিছুদিন পরে হবে।
দেশে এখন অনেক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সেটি মাঝারি ধরনের। আর গরমের প্রভাবও অনেক কমে গেছে। এটি আরও কমতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানান। তারা জানিয়েছেন, জুন মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত এমন থাকবে। ৯ তারিখের পর বৃষ্টি বাড়বে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাস মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জুন মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। মাসের প্রথমার্ধে সারা দেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিস্তার লাভ করতে পারে। এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ/গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।
এ মাসে দেশের উত্তর থেকে মধ্য পর্যন্ত দুই থেকে তিনটি মাঝারি অথবা তীব্র বজ্রঝড় ও দেশের অন্যত্র তিন থেকে চার দিন হালকা অথবা মাঝারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মৃদু ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মাঝারি ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
জুন মাসে ভারি বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে হতে পারে।
কেমন ছিল মে মাস
মে মাসে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হলেও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি এবং ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর কারণ পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব।
উত্তর আন্দামান সাগর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় ২২ মে একটি লঘুচাপ ২৪ মে আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে পরিণত হয়। ২৬ মে দুপুরে এটি ভারতের উত্তর উড়িষ্যা এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান দেয়। এ সময় বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হয়।
মে মাসে তীব্র তাপদাহ থাকে কয়েকদিন। ২৩ মে খুলনায় ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।