বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তরল কোকেন আমদানি: আসামির জামিন বাতিল

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ২২:৫৯

আসামি মেহেদি আলমকে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই বছরের ২ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার আপিল বিভাগ মামলার শুনানি নিয়ে জামিন স্থগিতাদেশ বহাল রাখে।

চট্টগ্রাম বন্দরে তেলের ড্রামে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মামলার আসামি সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মেহেদি আলমের হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বাতিল করেছে আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আসামি মেহেদি আলমকে ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর হাইকোর্ট জামিন দিয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ওই বছরের ২ ডিসেম্বর চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার আপিল বিভাগ মামলার শুনানি নিয়ে জামিন স্থগিতাদেশ বহাল রাখে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোকেন মামলায় আসামি মেহেদি আলমের জামিন স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগ আজকে বহাল রেখেছেন। এর ফলে তাকে কারাগারেই থাকতে হচ্ছে।’

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে থাকা সূর্যমুখী তেলের কনটেইনারে তরল কোকেনের অস্তিত্ব পায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের নামে চালান আসে।

উরুগুয়ের মন্টিভিডিও বন্দর থেকে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায়। সূর্যমুখী তেল আনার ঘোষণা দিয়ে আনা ১০৭টি তেলের ড্রামেই কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৮ জুন বন্দর থানায় খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ ও প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পুলিশ।

তদন্ত শেষে একই বছরের ১৯ নভেম্বর আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। কিন্তু আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহমেদের নাম বাদ দেয়ায় আদালত ওই অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে র‌্যাবকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত।

অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল নূর মোহাম্মদসহ ১০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব-৭।

এ মামলার অপর আসামিরা হলেন লন্ডনে অবস্থানরত বকুল মিয়া ও ফজলুর রহমান, কসকো শিপিং লাইনের ম্যানেজার একেএম আমজাদ, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. মেহেদি আলম এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম। বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রাম আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায় পুলিশ মেহেদি আলমকে ২০১৫ সালের ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করে। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর