বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটার এখনও কোনো অগ্রগতি নেই বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের বিষয়ে দুই মাস সময় দিয়ে মন্ত্রণালয় একটা উপ-কমিটি গঠন করেছে বলে জানান মন্ত্রী। সেই কমিটি প্রতিবেদন দিলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘রিপোর্ট আমরা পাই নাই। রিপোর্ট পেলে আমরা আপনাদেরকে অবহিত করব।’
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরকারের একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।
‘হত্যায় জড়িত থাকা একটা বিষয়। কিন্তু সেটা প্রমাণ করা আরেকটা বিষয়। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে যখনই আমরা কিছু করব সেটা অবশ্যই প্রমাণসাপেক্ষ হতে হবে।’
তার যুক্তি, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল হলে সেটা নিয়ে বিএনপি বা যে কেউ চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে।
‘এটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, কীভাবে বাতিল হল? সেক্ষত্রে আদালতে টিকে থাকার মতন অবস্থা তো লাগবে।’
সেক্ষেত্রেও কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে বলে জানান সেই মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সেখানে কিছু কিছু ব্যারিয়ার আছে। সেটা হল মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন বিচার হয় না। দ্বিতীয়ত, একজন বললেই তো কেউ চোর হয়ে যায় না। এভিডেন্স তো লাগবে। খুনিরা বলেছেন, জিয়াউর রহমান খুন করেছেন। খুন করেছেন মানে, তাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটা মানুষ বিশ্বাস করে, কারণ খুনিরা যেহেতু বলেছে। কিন্তু সেটা আইনের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে কতটুকু সেটা দেখতে হবে।’
ফলে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কী কী তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা যায়, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওই মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, ‘দেশে বিদেশে কিছু রেকর্ড সরকার পেয়েছে। আরও প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।’