সম্প্রতি বাংলাদেশি তরুণীকে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের হোতা আশরাফুল মণ্ডল ওরফে বস রাফিসহ চারজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম বেগম ইয়াছমিন আরা এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেয়া অপর আসামিরা হলেন রাফির সহযোগী মোছা. সাহিদা বেগম, আব্দুর রহমান শেখ ও ইসমাইল সরদার।
এর আগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা ওই তরুণীর বাবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের আদালতে হাজির করেন।
এরপর একই সঙ্গে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতের কেরালায় ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের হোতা আশরাফুল মণ্ডল ওরফে বস রাফি ও তার সহযোগী ম্যাডাম সাহিদাসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি চার-পাঁচজন মিলে বাংলাদেশি ওই তরুণীকে ভয়াবহ শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওটি সাইবার মনিটরিং টিমের নজরে এলে পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করে।
পরে নির্যাতনকারীদের একজন হিসেবে রিফাতুল ইসলাম ওরফে ‘টিকটক হৃদয় বাবু’কে শনাক্ত করে পুলিশ।
তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পারে, টিকটক হৃদয়কে চার মাস আগে মগবাজারের বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।
পরে পুলিশ কৌশলে টিকটক হৃদয়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে জানতে পারে, তিনি মাস তিনেক আগে ভারতে গেছেন।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, টিকটিক হৃদয় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
নির্যাতনের শিকার তরুণীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ। ঢাকায় হাতিরঝিল এলাকায় তার বাসা।
ওই ঘটনায় মানব পাচার আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন তরুণীর বাবা।