বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গারা ভাতা পাবে না: পরিষ্কার জানাল সরকার

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ১৮:১৪

মন্ত্রী বলেন, ‘গত দুদিন ধরে সেখানে (ভাসানচর) কিছু ডেমোনেস্ট্রেশন হয়েছে যে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা দিতে হবে। এই চাই, সেই চাই, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ দিতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশেই শরণার্থীদের নাগরিক সুবিধা থাকে না। তাদের শুধু আশ্রয় দেয়া হয়, নিরাপত্তা দেয়া হয়।’

ভাসানচরে স্থানান্তর করা রোহিঙ্গারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ এবং পাঁচ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা পাওয়ার দাবিতে যে সমাবেশ করেছে, সেটা বিবেচনায় নেয়া হবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও নিরাপত্তার পাশাপাশি চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। ভাসানচরে সব ধরনের ট্রলার, নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার সকালে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সভার সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, ‘গত দুদিন ধরে সেখানে (ভাসানচর) কিছু ডেমোনেস্ট্রেশন হয়েছে যে তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে ভাতা দিতে হবে। এই চাই, সেই চাই, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ দিতে হবে। পৃথিবীর কোনো দেশেই শরণার্থীদের নাগরিক সুবিধা থাকে না। তাদের শুধু আশ্রয় দেয়া হয়, নিরাপত্তা দেয়া হয়।’

রোহিঙ্গাদের এই দাবি অযৌক্তিক জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা) যে এক্সট্রা ভাতা চাইবে, তেমন কোনো বিধান নেই। পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। সেটা হয়তো তারা না বুঝে বলেছে, অথবা কারও প্ররোচনায় বলেছে। সেটা কোনোমতেই বিবেচনায় নেয়া যাবে না।’

কারও উসকানি, প্ররোচনায় এমন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: মাসে পাঁচ হাজার টাকা ভাতা দাবি রোহিঙ্গাদের

আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি জানান, রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার যাতে কোনো ঘাটতি না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসাটা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের থাকা, খাওয়া, পরা অর্থাৎ মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য খাওয়া-পরার যা দরকার, সেই লজিস্টিক সাপোর্ট শতভাগ সরকার নিশ্চিত করবে।’

ভাসানচরকে বিচ্ছিন্ন এলাকা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে প্রতিদিনই বহুসংখ্যক ট্রলার, নৌযান যাচ্ছে, সেটা টোটালি বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। আমাদের কোনো নাগরিক বিনা অনুমতিতে সেখানে যেতে পারবে না। যারা যাবেন, তাদের সরকারের অনুমোদন নিয়ে যেতে হবে। যাতে যথেচ্ছ আসা-যাওয়া করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করা হবে।’

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের স্থানীয়দের অভিযোগ বা তথ্যপ্রমাণও বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তারা (রোহিঙ্গা) নানা রকম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অথবা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতিমধ্যে চারপাশে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। দুই মাসের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে শেষ হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ আমরা দিয়েছি।’

কোনো রকম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না হয় এবং কোনো অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্য যাতে পরিচালিত না হয়ে, সে জন্য এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

প্রতারণা করে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘পাসপোর্ট নিয়ে গেছে অতীতে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেহেতু এনআইডি এবং ছবি দিয়ে করতে হবে, আমরা আশা করছি এমন সুযোগ অনেকটা কমে যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর