করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান ঢিলেঢালা লকডাউনের মধ্যে রাজশাহীতে নতুন করে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে।
বিধিনিষেধের ১০টি নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসন বুধবার বিকেলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এর মধ্যে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলার সব দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান বন্ধ থাকবে। তবে ওষুধের দোকান ও চিকিৎসাসেবার প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। বন্ধ থাকবে সব ধরনের গণজমায়েত। সব বিনোদনকেন্দ্রও বন্ধ থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল জলিল জানান, ঈদের পর করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় স্বাস্থ্য বিভাগ সীমান্তবর্তী সাত জেলায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরের সুপারিশ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আলোচনায় বসে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
সভা শেষে ডিসি বলেন, সরকার যে লকডাউন দিয়েছে, সেটিই আরও কঠোর হবে। এর বাইরে আলাদা করে কোনো লকডাইন দেয়া হবে না। তবে সব বিভাগকে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে তারা এই বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, জেলায় গত এক সপ্তাহের মৃত্যু ও শনাক্ত পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধে আম, মাছ, কৃষিপণ্য উৎপাদন-বিপণন করার সার্বিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এসব পণ্য নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
ডিসি আব্দুল জলিল বলেন, ‘এটি আগামী ৯ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত দেখব। পরিস্থিতি ভালো হলে শিথিল করব। তবে এটি খারাপের দিকে গেলে আরও কঠোর অবস্থানে যাব।’
নতুন বিধিনিষেধের মধ্যে আরও বলা আছে, সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যপণ্য কেনাবেচা করা যাবে। বাইরে যারা বের হবেন, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখা গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবে।