বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে থাকা বিদেশিদের ‘অধিকাংশ’ অপরাধে জড়িত

  •    
  • ২ জুন, ২০২১ ১৭:৪৮

‘দেশে কিছু বিদেশি নাগরিক আছে যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারা যেতে পারছে না। অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। কেউ বলছে বিমানবন্দর বন্ধ, কেউ বলছে টাকা নাই।'

গোয়েন্দাদের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে যে বিদেশিরা থাকেন, তাদের বেশির ভাগ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তারা নানা অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশ ছাড়তে চাইছেন না।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে দেখা গেছে, তাদের অধিকাংশ লোকই ক্রাইমের সঙ্গে জড়িত।’

তিনি বলেন, ‘দেশে কিছু বিদেশি নাগরিক আছে, যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তারা যেতে পারছে না। অনেকেই বিভিন্ন অজুহাত দেখাচ্ছে। কেউ বলছে বিমানবন্দর বন্ধ, কেউ বলছে টাকা নাই।’

তাহলে তাদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের আইনের আওতায় এনে কোনো সেফ জোনে বা নির্ধারিত স্থানে রেখে যদি টাকা না থাকে আমরা সরকারিভাবে টিকিট কেটে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেব।'

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো গ্রেপ্তার হচ্ছে না

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো আলেম-ওলামা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না এবং হবে না বলেও জানান মোজাম্মেল হক।

প্রায় দুই ঘণ্টার সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়েছে।

হেফাজত নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বলেন, ‘খুবই নগণ্যসংখ্যক, একেবারে কয়েকজন হাতে গোনা, সেটাও আপনারা দেখেছেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইডেন্টিফাই করেছে। আজকেও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না।’

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো আলেম-ওলামা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না বলে জানান মোজাম্মেল হক। ফাইল ছবি

যারা সুনির্দিষ্ট অপরাধের সঙ্গে জড়িত, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'যদি কোনো ভুল মেসেজ গিয়ে থাকে আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা হচ্ছে, সেটা সঠিক নয় বা কোনো অবস্থায় করা হবে না। অপরাধের বিচার হবে, অপরাধীদের বিচার হবে।’

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় ৩০ জনেরও বেশি নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে গত মার্চের শেষে ও এপ্রিলের শুরুতে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলা ছাড়াও ২০১৩ সালের ৫ মে সহিংসতার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

হেফাজত অভিযোগ করছে, তাদের নেতারা কোনো অপরাধে জড়িত নন, তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

মন্ত্রী মোজাম্মেল হক বলেন, 'আমি একজন মন্ত্রী, অপরাধ করলে আইনের আওতায় আনা হবে, এমপি করলেও আসবে, সরকারি কর্মচারী হলেও আসবে। অর্থাৎ যেকোনো নাগরিক যেভাবে আইনের আওতায় আসবে সেভাবে আসবে।'

কাউকে অযথা হয়রানি করা হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'কোনো রাজনৈতিক দলীয় পরিচয় বা সম্প্রদায়ের পরিচয় যাতে আইনের অপব্যবহার না হয়, এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যাতে আরও সচেতন থাকে, সে ব্যাপারে বলা হয়েছে।'

এ বিভাগের আরো খবর