জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি সেনাবাহিনীর বরখাস্ত রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান ওরফে মোসলেম উদ্দিন খান, এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরীর বীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সরকার।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় নেয়া সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত হলেও এখনও গেজেট আকারে প্রকাশ হয়নি বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটা এখনও গেজেট হয়নি। গেজেট প্রক্রিয়াধীন।’
কবে নাগাদ গেজেট হবে সেটা নিশ্চিত করেননি মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ডিসিশনটা ফাইনাল হয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। তখন আপনাদের কপি দেয়া হবে। হবে ইনশা আল্লাহ, এটা হওয়ার প্রক্রিয়াধীন।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসায় সপরিবার হত্যা করা হয়। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ায় ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর করা হয়। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ, এ কে বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন।
বাকি সাত খুনির একজন আজিজ পাশা। ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে তার মৃত্যু হয়।
আরেক খুনি আব্দুল মাজেদ গত বছরের ৭ এপ্রিল ঢাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। তার ফাঁসি কার্যকর হয় ১১ এপ্রিল।
২০২০ সালের ১১ এপ্রিল বঙ্গবন্ধুর খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
বাকি পাঁচজন এ এম রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন খান ও খন্দকার আবদুর রশিদ পলাতক।