জজ কোর্টে জামিন মেলেনি বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতার। ভার্চুয়াল আদালত মঙ্গলবার তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেয়।
ছাত্র অধিকার পরিষদের কারাবন্দি দুজন নেতার জামিন আবেদন করা হয়েছিল জর্জ কোর্টে। তারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার ক্রীড়া সম্পাদক আরেফিন। তারা দুজন ঢাকা মেডিক্যাল থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহবাগ থানায় পুলিশের করা মামলার আসামি।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের ভার্চুয়াল আদালত মঙ্গলবার বিন ইয়ামিন ও আরেফিন হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেয়।
গোয়েন্দা পুলিশ গত ৪ এপ্রিল এই দুজনসহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের হেফাজতে নেয় পুলিশ। রিমান্ড ফেরতের পর ৮ এপ্রিল দুজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম শাহিনুর রহমান।
কারাবন্দি এই দুজন ছাত্রনেতার পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। মঙ্গলবার জামিন আবেদনের পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিল থানায় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও পুলিশকে মারধর করার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সময় আবুল কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মীরা তাকে জোরপূর্বক পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন পল্টন মডেল থানার এসআই রায়হান কবির।
মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বর্তমান সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান, সোহরাব, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আতাউল্লাহসহ মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়।