প্রচণ্ড গরমে মে মাসজুড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল রাজধানীতে। মাসের শেষ সপ্তাহে কিছু কিছু এলাকায় তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও গরমের অনুভূতি ছিল ৪৫ ডিগ্রির। এটাকে আরবের গরমের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকে।
তবে মের শেষ দিনে সকালে কিছু সময়ের জন্য বৃষ্টি হয়েছিল, যা অনেকের কাছে ছিল স্বস্তির। সে ধারাবাহিকতা দেখা গেছে জুনের প্রথম দিনেও। তবে মঙ্গলবারের বৃষ্টি স্বস্তির পাশাপাশি অস্বস্তিতেও ফেলেছে অনেককে।
আজ অনেকের ঘুম ভাঙে বৃষ্টি আর বজ্রপাতের শব্দে। সকাল সাড়ে ৬টা থেকে টানা বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে। পৌনে ৯টায়ও বৃষ্টির টাপুরটুপুর শোনা গেছে। তবে বেগ ছিল না তেমন।
অবিরাম বর্ষণে অনেক এলাকার সড়ক ভেসে যায় পানিতে। কিছু কিছু এলাকার সড়কে পানি এত বেশি হয়ে যায় যে, চালকদের বাধ্য হয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়েছে। কখনো কখনো তাদের থেমে থাকতে হয়েছে।
টানা বৃষ্টিতে সড়কগুলোতে গণপরিবহন ছিল অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বেশি চলতে দেখা যায়।
টানা বর্ষণেও কর্মস্থলের দিকে ছুটতে হয় অনেককে। ছাতা হাতে বের হলেও বৃষ্টির বাগড়ায় কখনও কখনও নিরাপদ আশ্রয়ে দাঁড়াতে হয় তাদের। বাইরের অবস্থা দেখে কেউ কেউ ঘর থেকে বের হয়ে ভিজে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি।
কোন এলাকায় কেমন বৃষ্টি
সাভার থেকে রাজধানীতে প্রবেশের মুখ গাবতলী, কাছাকাছি এলাকা মাজার রোড ও টেকনিক্যাল মোড়ে সড়কে বৃষ্টির পানির স্রোতোধারা দেখা গেছে। তবে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা যায়নি।
মিরপুর-১ নম্বর মোড় এলাকায়ও প্রায় একই ধরনের অবস্থা দেখা যায়। তবে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। এসব এলাকায় গাড়ি চালাতে বেগ পেতে হয়েছে চালকদের।
মিরপুর-১৩ নম্বর এলাকার সড়কের বেশির ভাগ অংশ তলিয়ে যায় বৃষ্টির পানিতে। মিরপুর-১৪ থেকে সৈনিক ক্লাব পর্যন্ত এলাকার সড়কের বিভিন্ন অংশে পানি জমতে দেখা যায়।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জলাবদ্ধ সড়কে গাড়ি চলতে দেখা যায়। আবাসিক এলাকার কাছে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের সড়কে হাঁটুপানি দেখা যায়। এ ছাড়া উত্তরা-৩ নম্বর সেক্টর, খিলক্ষেত ও আজমপুরের ভেতরের রাস্তায় পানি দেখা যায়।