নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মো. ইকবাল বাহার ও সিরাজুল হক ওরফে আবুল হাশেমকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেয়।
আসামিদের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন শাহীনুর বেগম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ জানান, আদালত তাদের আবেদন শুনে নট প্রেস রিজেক্ট (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) করেছেন।
এর আগে গত ১৮ মে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ইকবাল বাহারের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল।
চলতি বছরের গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা এবং তার বিরোধীপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
সেখানে স্থানীয় সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কিরসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। আহত হন আরও অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি। মুজাক্কিরসহ গুলিবিদ্ধ কয়েকজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে মুজাক্কিরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মৃত্যু হয় তার।
মুজাক্কিরের মৃত্যুর পর তার বাবা মাওলানা নুরুল হুদা মো. নোয়াব আলী মাস্টার ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলায় সুনির্দিষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। মামলাটি এখন পিবিআই তদন্ত করছে।
এ মামলায় কাদের মির্জার অনুসারী ইকবাল বাহারকে ১৩ মার্চ ও সিরাজুল হককে ১৬ মার্চ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।