বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাবি না মানলে প্রধান বিচারপতির বাসা ঘেরাও

  •    
  • ৩১ মে, ২০২১ ১৭:২১

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত ৫৪ ছাত্রের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে হাইকোর্ট মাজারের গেটে অবস্থান নিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বসে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

ছাত্র অধিকার পরিষদের আটক ৫৪ নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আজকে যদি কাজ না হয়, এটাও জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ওনার (প্রধান বিচারপতি) বাসস্থানে যাব। আমাদের কথা না শোনা পর্যন্ত ওনার বাসভবন ঘেরাও করে বসে থাকব। জনগণের আবেদন না শুনলে ওনার ওই চেয়ারে থাকার অধিকার নাই।’

সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে গ্রেপ্তারকৃত ৫৪ ছাত্রের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে হাইকোর্ট মাজারের গেটে অবস্থান নিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা বসে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

সোমবার এর আগে শাহবাগে একই দাবিতে একটি নাগরিক সমাবেশ শেষে হাইকোর্টে যায় তার নেতৃত্বে একটি দল।

প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে মাজার গেটে পুলিশের বাধার বিষয়ে তিনি বলেন, হাইকোর্ট হলো জনগণের জন্য একটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। সেখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে গেটে তালা লাগিয়ে তারা ভুল করছেন। হাইকোর্টের দরজা কখনও বন্ধ হতে পারে না। জনগণের বিচারের জায়গা এটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। আমি বলেছি, আপনারা যদি আমাকে ঢুকতে না দেন, দরকার হলে সারা রাত আমি ওই গেটে বসে থাকব। আমি মুক্তিযোদ্ধা, কখনো পেছাতে শিখিনি। জয় নিয়েই ফিরব।

হাইকোর্টে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ডা. জাফরুল্লাহ । ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা রয়েছে, সেটি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের। আমরা সিনিয়র সিটিজেন। আমরা এখানে কোনো অশান্তি চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান চাই।

এর পরই সাতজনকে হাইকোর্টের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ১৮ জন একটা দরখাস্ত করেছিলাম। সেখানে ৫৪ জন ছাত্রের জামিন চেয়েছিলাম। আজকে তিন মাস হয়ে গেছে জামিন হয় না। অথচ সৌভাগ্যের বিষয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের সাত দিনের মধ্যে জামিন হয়ে গেল। রোজিনার তথাকথিত অপরাধের চেয়েও ছাত্রদের অপরাধ কম।’

তিনি বলেন, তাদের অপরাধ, তারা একটি ঘৃণ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধিক্কার দিয়েছে। এই কারণে তাদের জেলে দিয়েছে। এই ছাত্রদের জামিন না দেয়া এর থেকে বড় অন্যায় আর কী হতে পারে। এই কথাগুলো প্রধান বিচারপতিকে জানাতে এসেছিলাম। উনি (প্রধান বিচারপতি) আজকে অফিসে নাই। ওনার প্রতিনিধি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে জানালাম।

‘আমরা বিচারে হস্তক্ষেপ নয়, দীর্ঘসূত্রতা চাই না। ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে এই মামলাটা আছে, তারা যেন সেখানে রায় দেয়।’

বেলা আড়াইটার দিকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকী, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজীজ উলফাক, মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর ও লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ আরও অনেকে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৫ মার্চ মতিঝিলে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের সংঘর্ষের ঘটনায় মতিঝিল থানায় প্রথম মামলা হয়। এরপর গত ২৭ মার্চ প্রেস ক্লাবের সামনে ধস্তাধস্তির ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়। দুই মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বাদে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়। এ মামলায় বেশ কয়েকবার জামিন চেয়ে জামিন না মেলায় প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আবেদন করেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর