ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলায় জামিন হয়ে যাওয়ায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এই জামিনের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।
রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয় বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ।
আসলাম চৌধুরীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসিবুর রহমান।
২০১৬ সালের ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির তৎকালীন আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।
এরপর রাষ্ট্রদ্রোহের দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে নাশকতা, চেক প্রতারণাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামি হন আসলাম। সব কটি মামলায় জামিন পেয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী হাসিবুর রহমান।
এর আগে ভারত সফরে গিয়ে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পাটির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার হাসিমুখে কয়েকটি ছবি গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। সে সময় বিষয়টি তুমুল আলোচনার তৈরি করে।
মেন্দি সাফাদি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট বলে সে সময় লেখালেখি হয়েছিল।
আসলাম তখন বলেন, এই সফর রাজনৈতিক ছিল না, তার ব্যবসায়িক সফর ছিল।
বিএনপি তখন আসলামের পক্ষে দাঁড়ালেও সম্প্রতি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসলামের দায় বিএনপি নেবে না।
বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে এক্সসেপ্ট ইসরায়েল তুলে দেয়ার সমালোচনা করে সম্প্রতি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে আসলামের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন ফখরুল। তখন তিনি আসলামের সেই বিষয়টিকে তার ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করেন।
আসলাম চৌধুরী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এবি ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ আত্মসাতের অভিযোগও আছে।
এই অভিযোগে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরোনো জাহাজ ক্রয়ের জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলাসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি।