বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি, যারা কাজে যোগ দিতে দেশ থেকে বিদেশে যাবেন তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা প্রতিরোধী টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বৈঠক শেষে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনেশনে তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে। টিকা দেয়ার জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় একটা তালিকা তৈরি করবে।’
সচিব বলেন, ‘টিকা যখন পর্যাপ্ত হবে তখন আমাদের বিদেশগামী কর্মীদের, বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের এটা দেয়া হবে, এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
বিদেশগামী কর্মীদের বিমান ভাড়ায় কিছুটা ছাড় দেয়া যায় কি না তা ভেবে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
‘বিমান ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন আছে। তাদের জন্য আমরা ডিসকাউন্টেড কিছু ফেয়ার করতে পারি কিনা, যারা বিদেশগামী কর্মী।’
বিদেশগামী কর্মীদের কোয়ারেন্টিন নিয়েও সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানান এই সচিব। টিকা দেয়া শুরু হলে কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজনীয়তা ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি।
‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থাকবে তাদের জন্য সরকার যে ফ্যাসিলিটিজ দিয়েছে সেটা আমরা ওয়ার্ক আউট করব। আমরা ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে যাচ্ছি, দেব। একটা পদ্ধতি আমরা বের করছি। আমরা তাদের কনফার্ম টিকিটের বিপরীতে দেব। অথবা এয়ারলাইনসের সঙ্গে একটা যোগাযোগ করে এয়ারলাইনস থেকে তাদের টাকাটা আমরা দিয়ে দেব।’
বিদেশগামী প্রতি কর্মী কোয়ারেন্টিন খরচ বাবদ এই সুবিধা পাবেন বলেও নিশ্চিত করেন ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
তিনি বলেন, ‘যখনই তারা যাবেন, তাদের টাকা দেয়া হবে। আজকে গেলেও তারা পাবেন, গতকাল যদি তারা গিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রেও তারা পাবেন। অর্থাৎ কোয়ারেন্টিনে খরচ যখন থেকে হয়েছে, তখন থেকেই তারা পাবেন।’