বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গণতন্ত্র মানে সমালোচনা নয়, অর্জনও দেখতে হবে

  •    
  • ২৯ মে, ২০২১ ২১:১৬

'দুর্নীতি ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। গণতন্ত্র আছে, সরকার আছে কিন্তু ইফেকটিভ কার্যক্রম নেই। আর ইফেকটিভ কার্যক্রমের জন্য বিরোধী দল দরকার। কিন্তু তেমন বিরোধী দল এ দেশে নেই। বর্তমানে সুশীল সমাজও দেখি না। দেখি পলিটিক্যাল সোসাইটি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেছে। এটা বেশ লম্বা সময়, এখন সুশাসন আরও বেশি দরকার।'

উদার গণতন্ত্র মানে শুধু সরকারের নেতিবাচক সমালোচনা নয়, বরং সরকারের অর্জন বিষয়েও আলোচনা করতে হবে। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে প্রত্যেককে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে গণতান্ত্রিক অধিকার বাধাগ্রস্ত হবে না।

শনিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘অতিমারি পরবর্তী বাংলাদেশের উদার গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক শান্তনু মজুমদার।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, উদার গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল বিরোধী দলের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এ দেশের বিরোধী দল সন্ত্রাসবাদের রাজনীতি করে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে। এরা আগে মানুষকে ভোট প্রয়োগে বাধা দিয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে মানুষ যাতে ভোট না দিতে পারে, এ জন্য জ্বালাও-পোড়াও করেছে। আর এখন বড় গলায় মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে আলোচনা করছে। অনেক চড়াই-উতরাই পার করে বাংলাদেশ আজ এ অবস্থানে এসেছে। এ জন্য গণতন্ত্রের আলোচনা করলে সরকারের অর্জনগুলো আগে দেখতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। মানুষের কোনো অধিকার নেই। দেশে ভোটাধিকার নেই। প্রত্যেক মানুষ এখন সেটা বুঝতে পারছে। উদার গণতন্ত্র পরিপালন করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক উদারতা থাকতে হবে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এ ধারা পরিবর্তন করতে হবে। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হতে দেয়া যাবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিকমতো চলছে কি না, তদারকি করতে হবে। দুর্নীতি ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। গণতন্ত্র আছে, সরকার আছে কিন্তু ইফেকটিভ কার্যক্রম নেই। আর ইফেকটিভ কার্যক্রমের জন্য বিরোধী দল দরকার। কিন্তু তেমন বিরোধী দল এ দেশে নেই। বর্তমানে সুশীল সমাজও দেখি না। দেখি পলিটিক্যাল সোসাইটি। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেছে। এটা বেশ লম্বা সময়, এখন সুশাসন আরও বেশি দরকার।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্রের কথা বললে অর্থনীতি চলে আসে। ভালো প্রতিষ্ঠান ছাড়া টেকসই উন্নয়ন হবে না। করোনাকালেও আমাদের মাথাপিছু আয় ৯ শতাংশ বেড়েছে। একই সময় বিরাটসংখ্যক মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে। এসব মানুষের জন্য সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ‍কিন্তু এখানেও বড়রা অর্থ পাচ্ছে। সরকার গ্যারান্টি স্কিম ঘোষণা করেছে। কিন্তু এরপরেও কাঙ্ক্ষিত ঋণ ছোটরা পাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন সবাই সমানভাবে সুবিধা পায়।

দৈনিক নিউএজের সম্পাদক নুরুল কবীর বলেন, উদার গণতন্ত্রে সংসদ সার্বভৌম নয়, জনগণই সার্বভৌম। উদার গণতন্ত্রের অন্তরায় হলো নারী-পুরুষবৈষম্য, এক দলের সঙ্গে আরেক দলের মতপার্থক্য, ধর্মীয় অধিকার নিয়ে বৈষম্য।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংবিধানে রয়েছে, জনগণই সব ক্ষমতার অধিকারী। কিন্তু ভোট না দিতে পারলে এটা কার্যকর হবে কীভাবে। জনগণের ভোটাধিকার আগে নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায়পালের কথা থাকলেও সেটা কার্যকর নেই। ভোটাররা তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে না। ৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। এটা নিয়ে জুডিশিয়ালি কেউ চ্যালেঞ্জ করে না।

এ বিভাগের আরো খবর