বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাসেলের স্বপ্ন পূরণ না হওয়ায় শেখ হাসিনার আক্ষেপ

  •    
  • ২৯ মে, ২০২১ ১৪:১৩

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার ১০ বছরের ছোট্ট ভাই রাসেল, তার জীবনের স্বপ্ন ছিল বড় হলে সে আর্মিতে যোগ দেবে। কিন্তু তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’

শেখ রাসেলের সেনা কর্মকর্তা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার আক্ষেপ ঝরল বড় বোন শেখ হাসিনার কণ্ঠে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে সশস্ত্র বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ আক্ষেপ করেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রসঙ্গ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, আমার মা, ভাই, ভাতৃবধূ সবাইকে হত্যা করা হয়।

‘আমার ১০ বছরের ছোট্ট ভাই রাসেল, তার জীবনের স্বপ্ন ছিল বড় হলে সে আর্মিতে যোগ দেবে। কিন্তু তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে প্রাণ হারান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঘাতকের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল। ঘাতকরা যখন তাকে গুলি করে হত্যা করে তার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বলেন, ‘আমি আর আমার ছোট বোন বিদেশে থাকায় বেঁচে যাই। এরপর বহুদিন আসতে পারিনি দেশে। কিন্তু দেশে এসেই জাতির পিতা যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সে আদর্শ নিয়েই স্বাধীন দেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাই।

‘২১ বছর পর যখন সরকার গঠন করি, তখন সেনাবাহিনী যেন আরও আধুনিক ও প্রশিক্ষিত হয়, সে উদ্যোগ গ্রহণ করি। জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতিমালা আমাদের দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে আমরা ফোর্সেস গোল ২০২১ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়বার যখন সরকারে আসি, তখন আমরা ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করি এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। গত ১২ বছরে আমাদের দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী অর্থাৎ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ বাহিনীসহ প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করা, আধুনিক করার পদক্ষেপ আমরা নেই।

‘আমরা এমনভাবে ট্রেনিং নেয়ার ব্যবস্থা করি যেন বিশ্বশান্তি রক্ষায়, দেশের ভেতরে শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করতে পারে। এরপর আমি জানি যে, নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ একসময় ব্যাপকভাবে সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। বাংলাদেশে আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলাম, যা এখনও অব্যাহত আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর