নিজেদের কালো টাকা সাদা করার কারণ ব্যাখ্যা করে এরপর সরকারের সমালোচনা করতে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তা না হলে সমালোচনার জন্য বিএনপির নৈতিক অধিকার থাকে না বলে মন্তব্য তার।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
আসন্ন বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকা নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে মন্ত্রী তাদের পাল্টা প্রশ্ন ছোঁড়ে বলেন, ‘বেগম জিয়া কেন কালো টাকা সাদা করেছিলেন?’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমার সবিনয় প্রশ্ন: বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে নিজে কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তার কী জবাব আছে? আর প্রয়াত সাইফুর রহমান, যিনি আব্দুস সাত্তার, জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া – সবার আমলেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তারই বা কী জবাব?’
মন্ত্রী বলেন, ‘আগে নিজেদের কালোটাকা সাদা করার জবাব দিন, তারপর সরকারের সমালোচনা করুন।’
অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তানসহ পৃথিবীর বহু দেশেই অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ রাখা হয় বলে জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি যে এটিকে সবসময়ের জন্য পুরোপুরি সমর্থন করি তা নয়, কিন্তু আমাদের দ্রুত বর্ধনশীল, উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে এ সুযোগ রাখা হয়েছে অর্থনীতির স্বার্থেই।’
এই করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের জিডিপি বাড়া ও মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সংবাদে বিএনপির প্রশংসা করা উচিত বলে মনে করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘রাত বারোটার পর যারা টেলিভিশনের পর্দা ফাটান, সরকারকে নানা পরামর্শ দেন, তাদেরকেও এ বিষয়ে অভিনন্দন দিতে দেখলাম না। দেশ ও মানুষের উন্নতি কি তাদের পছন্দ নয়?’
সকল দুর্যোগ দূর্বিপাকে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদিকে, করোনার প্রথম দফায় বিএনপি মাঝেমধ্যে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ভান করে যে লোকদেখানো ফটোসেশন করতো, এখন তাও করে না, তারা শুধু সরকারের সমালোচনাতেই ব্যস্ত।’
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দলের ত্রাণ উপকমিটির সদস্য ও সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি মো. শাহজালাল, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. আব্দুল মজিদসহ আরও অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অতিথিরা ভারত সীমান্তবর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শেরপুর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা ও মোড়লগঞ্জ এলাকার প্রতিনিধিদের হাতে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেন।