বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার যে ল্যাবরেটরি রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে, তাতে নমুনা সংগ্রহের সময় উল্লেখ থাকছে না। এতে বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিষয়টির জরুরি সুরাহায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার যে ল্যাবরেটরি রিপোর্ট দিচ্ছে তাতে নমুনা গ্রহণের তারিখ লেখা থাকলেও ‘সুনির্দিষ্ট সময়’ উল্লেখ থাকছে না। অনেক দেশে প্রবেশ বা ট্রানজিটের জন্য যাত্রা শুরুর ৩৬ বা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নমুনা দিয়ে পরীক্ষা করার শর্ত রয়েছে। সেসব দেশের ক্ষেত্রে যাত্রীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ভুল বোঝাবুঝিতে।
কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইন্স বিভিন্ন রাষ্ট্রের চাহিদা বিবেচনায় সময় গণনা করছে সনদে উল্লেখ করা তারিখের মধ্যরাত থেকে। অথচ যাত্রী প্রকৃতপক্ষে নমুনা দিয়েছেন সেদিন সকালে অথবা দুপুরে। এ অবস্থায় যাত্রীরা বিমানবন্দরে পৌঁছে দেখছেন ঘণ্টার হিসেবে তাদের সময় থাকলেও সনদ ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’ বলে বিবেচিত হচ্ছে।
বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বলেন, একজন যাত্রী যদি ২৭ মে বেলা ১২টায় নমুনা দেন এবং ওই দিন রাত ৯টায় কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট পান তাহলে পরদিন সন্ধ্যায় তার যাত্রায় সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু ২৮ মে সন্ধ্যা ৬টায় যার ফ্লাইট তিনি ৪২ ঘণ্টা পর যাত্রা করছেন বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ল্যাবরেটরি রিপোর্টে নমুনা সংগ্রহের সময় উল্লেখ না করায় এয়ারলাইন্স এবং বিভিন্ন দেশ বিভ্রান্তিতে পড়ছে। কারণ তারা শুধু তারিখ দেখে মধ্যরাত থেকে সময় গণনা করছে।
বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আগত যাত্রীদের কোভিড সনদে নমুনা দেয়ার তারিখের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করা থাকে। অথচ বাংলাদেশ থেকে বিদেশ যাত্রার জন্য সনদে সময় উল্লেখ না থাকায় অনেক যাত্রী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বেবিচক অনুরোধ করেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেন বিদেশগামী যাত্রীদের কোভিড ১৯ পরীক্ষার ল্যাবরেটরি রিপোর্টে নমুনা সংগ্রহের তারিখের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ হাফিজুর রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি দেখা যায় বিমানবন্দরে।