বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনআইডির দায়িত্ব হারাচ্ছে ইসি

  •    
  • ২৮ মে, ২০২১ ০০:৪১

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিমের সই করা চিঠিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজটি সুরক্ষা সেবা বিভাগকে দিতে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে দিতে যাচ্ছে সরকার। এতদিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) দায়িত্বটি পালন করে আসছিল।

এখন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ দেখবে।

এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৪ মে পাঠানো এই চিঠির একটি অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিমের সই করা চিঠিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজটি সুরক্ষা সেবা বিভাগকে দিতে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রথমত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করতে রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর রুল ১০ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ থেকে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।

দ্বিতীয় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০-এ ‘নির্বাচন কমিশন’-এর পরিবর্তে ‘সরকার’ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করাসহ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর ব্যবস্থা নেয়া।

তৃতীয় ও শেষ নির্দেশনায় রয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।

বর্তমানে নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা ও এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রমের দায়িত্বে রয়েছে ইসি। জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন ডাটাবেসকে হালনাগাদ রাখা এবং প্রযোজ্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যক্তি-পরিচয় যাচাই সেবাও দেয় সংস্থাটি।

২০০৭-২০০৮ সালে দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের অংশ হিসেবে ছবিযুক্ত এনআইডি কার্ড ইস্যু করা শুরু হয়। ২০১০ সালে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনটি পাস হওয়ার পর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এনআইডি বিভাগ তৈরি করা হয়েছিল।

তবে এনআইডি নিয়ে প্রথম থেকেই নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। পরিচয়পত্রে তথ্য ভুল করা, জীবিতকে মৃত বানিয়ে দেয়াসহ নানা সমস্যা রয়েছে। ভুল সংশোধনেও লাগে দীর্ঘ সময়।

এ ছাড়া পাসপোর্ট ইস্যু, বিভিন্ন ব্যক্তির পরিচয় (বিশেষ করে অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি) নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের সহায়তা লাগে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং থেকে তারা এ তথ্য সংগ্রহ করে। তবে অন্যের তথ্যভান্ডার থেকে সহায়তা পেতে বেশি সময় ব্যয়সহ আরও কিছু বিষয়ে তাদের বেগ পেতে হচ্ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর