স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উত্তরিত এবং উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর উত্তরণ টেকসই করতে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও গ্রুপ এবং জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থার সাহসী, উদ্ভাবনী, উন্নত ও সমন্বিত সহায়তা পদক্ষেপ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান এলডিসি-৫ প্রস্তুতিমূলক ভার্চুয়াল থিমেটিক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯-এর কারণে এলডিসি থেকে উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলো এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশগুলোর বাণিজ্য, মেধাস্বত্ব অধিকার ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘টেকসই উত্তরণ সহায়তা সুবিধাদি (এসজিএসএফ)’ এর মতো নতুন ও উন্নত সহায়তা কাঠামোর বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে জাতিসংঘসহ ‘ইন্টার-এজেন্সি টাক্স ফোর্স (আইএটিএফ)’ এ সব দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুৎসই ধারণা নিয়ে আসবে যা উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর টেকসই উত্তরণ নিশ্চিত করবে এবং তাদের পিছলে পড়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।
‘উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য উন্নত সহায়তা পদক্ষেপ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডিভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন-সিডিপি) ও স্বল্পোন্নত দেশ, ভূ-বেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ এবং উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর জন্য নিযুক্ত জাতিসংঘের উচ্চ প্রতিনিধির কার্যালয়।
কাতারে ২০২২ সালে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি সম্মেলনের সফলতা ঘরে তুলতে প্রস্ততিমূলক কমিটির চলমান এই সভা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন এলডিসি-৫-এর প্রস্তুতিমূলক সভার কো-চেয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, প্রস্তুতি কমিটির এ সভাগুলোর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও উন্নয়ন অংশীদাররা উত্তরিত ও উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য কোভিড-১৯ চ্যলেঞ্জসহ উত্তরণের অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যথোপযুক্ত সহায়তা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানটিতে অংশ নেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর পরিচালক তাফিরি টেসফাসিউ এবং ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
ইভেন্টটিতে স্ব স্ব দেশের উত্তরণ পরবর্তী অভিজ্ঞতা ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন মালদ্বীপের জাতীয় পরিকল্পনা, গৃহায়ণ ও অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ আসলাম এবং ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক গ্রিগরি নিম্বটিক।
গত ২৪ মে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শুরু হওয়া এলডিসি-৫-এর প্রস্তুতিমূলক সভা ২৮ মে শেষ হবে।