বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে করোনা বাড়লে লকডাউন: স্বাস্থ্যের ডিজি

  •    
  • ২৭ মে, ২০২১ ১৭:২৩

‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই করোনা পজেটিভ ছিলেন। তাদেরকে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি সেসব জায়গাতেও আমরা এরই মধ্যে লকডাউন দিয়েছি। বাকি যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা তা নিচ্ছি।’

সীমান্তবর্তী এলাকায় করোনা বাড়লে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই করোনা পজেটিভ ছিলেন। তাদেরকে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বেশি, সেসব জায়গাতেও আমরা এরই মধ্যে লকডাউন দিয়েছি। বাকি যেসব ব্যবস্থা নেয়া দরকার, আমরা সেসব নিচ্ছি।

করোনা সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংক্রমণের হার যদি বাড়ে, তাহলে অবশ্যই আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। টিকার যে মজুত রয়েছে তা আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৫ মে ঢাকা মেডিক্যালে সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির ডোজ প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে জেলায় জেলায় আলাদা করে লকডাউন দেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জের মতো অন্যান্য সীমান্তবর্তী যেসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেসব জেলাকে আইসোলেটেড করে রাখা হবে। প্রয়োজনে আলাদা করে লকডাউনও দেয়া হবে।’

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭ জেলা চিহ্নিত করেছিল। তখনই এসব জেলাতে লকডাউন দিতে সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয় করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় কারিগরি কমিটি।

কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. নজরুল ইসলাম ৩৭ জেলার কিছু এলাকায় লকডাউন দেয়ার এই প্রস্তাব দেন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ঈদযাত্রায় যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হয়েছে, ঈদের পর সংক্রমণ হার বাড়বে—এমন আশঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কাই সত্যি হলো।

‘দিন দিন শনাক্তের হার যেভাবে বাড়ছে, এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে অধিদপ্তরের চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা ৩৭ জেলায় আবার লকডাউন ঘোষণা করা যেতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর