বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আম আসছে স্পেশাল ট্রেনে

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ১৯:০৮

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন।

সুলভ মূল্যে আম পরিবহনে ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটে বৃহস্পতিবার চালু হচ্ছে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন-১ প্রতিদিন বেলা ২টায় রহনপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ২টায়।

আর ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন-২ প্রতিদিন রাত সোয়া ৩টায় যাত্রা করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌঁছাবে বিকেল সাড়ে ৩টায়।

আম পরিবহনে প্রতিটি ট্রেনে পাঁচটি লাগেজ ভ্যান থাকবে। লাগেজ ভ্যানের ধারণক্ষমতা ৪৩ টন।

দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রহনপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ৪০৯ কিলোমিটার। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩৯৪ কিলোমিটার এবং আমনুরা থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩৯৪ কিলোমিটার। এই তিন ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ভাড়া গুনতে হবে ১ টাকা ৩০ পয়সা।

আর রাজশাহী থেকে ঢাকার দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার। এ ক্ষেত্রে কেজিপ্রতি ভাড়া দিতে হবে ১ টাকা ১৭ পয়সা।

রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের বেশির ভাগ রেললাইন ও স্টেশন কৃষি অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য কেন্দ্রের সংযোগ করতে নির্মাণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় উৎপাদিত কৃষিপণ্যের বাজারজাত প্রক্রিয়াকে সহজ করতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এর মধ্য দিয়ে একজন ক্ষুদ্র চাষি ও ব্যবসায়ীকে দৃঢ় অবস্থানে টিকে থাকা এবং পণ্য বাজারমুখী করার পথ প্রশস্ত হবে বলে আশা করে সরকার।

মধুখালী-কামারখালী-মাগুরা পর্যন্ত নতুন রেললাইন

বৃহস্পতিবার মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলাকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার সরকারি ঘোষণার আলোকে মাগুরাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে মাগুরাকেও রেল সংযোগে যুক্ত করে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগকে আরও উন্নত করা হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত এ লাইনটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২০ কিলোমিটার। এ ছাড়াও, কামারখালী ও মাগুরা স্টেশন ইয়ার্ডে ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে।

কামারখালী ও মাগুরায় নির্মাণ করা হবে দুটি স্টেশন।

১৮৬২ সালে দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন তৈরির মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলে রেলওয়ের যাত্রা শুরু হয়। ১৮৭০ সালে গড়াই সেতু নির্মাণ করা হলে ১৮৭১ সালের ১ জানুয়ারি তা গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।

১৯৩২ সালের ১ জানুয়ারি দক্ষিণাঞ্চলের বাঁশ, বেত, পাট বহনের স্বার্থে কালুখালি থেকে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হয়। ওই সময়ে আরও একটি শাখা লাইন মধুখালী থেকে কামারখালী ঘাট পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শাখা লাইনটি বন্ধ হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর