ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে নোয়াখালীর ভাসানচরে বঙ্গোপসাগরের চরে পাথরবাহী একটি জাহাজ আটকা পড়েছে । এ ঘটনার পর ১২ নাবিককে উদ্ধার করেছে বিমানবাহিনী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার সাইফুল আলম।
তিনি জানান, এমভি সানভ্যালি নামের জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে বুধবার সকালে ভাসানচর এলাকায় আটকে যায়।
সাইফুল আলম বলেন, ‘নোয়াখালীর ভাসানচরের পশ্চিমে লাল বয়া এলাকায় চরের সঙ্গে আটকে যায় জাহাজটি। বুধবার বেলা ৩টায় ওই এলাকায় প্রায় ২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর জাহাজটিকে শনাক্ত করা হয়।’
তিনি জানান, পরে জাহাজটির ১২ জন নাবিককে উদ্ধার করে বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার। তাদের চট্টগ্রাম জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার দেয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজের স্টাফ মো. আলী জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের মাঝিরঘাট থেকে পাথরবোঝাই জাহাজ ঢাকার ডেমরার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ৯টার দিকে ভাসানচরের কাছাকাছি পৌঁছালে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে এটি।
প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ায় ঢেউয়ের তোড়ে জাহাজে পানি ঢুকতে থাকে। সে সময় তারা নিরাপদে বয়ায় ছিলেন এবং ৯৯৯ এ কল করে সাহায্য চান।
সেখান থেকে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে জানানোর কথা বলা হয়।
তবে সকালেও কেউ উদ্ধার করতে না এলে ফোন করে জানতে পারেন, বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার উদ্ধারে আসবে। এরপর বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিমানবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার তাদের ১২ জনকে উদ্ধার করে।
মো. আলী বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ। তাই আমাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। বাকিরা সুস্থ আছেন।’
এদিকে জাহাজটির মালিককে খবর দেয়া হয়েছে। শিগগির মালিকের প্রতিনিধির কাছে নাবিকদের হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।