বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ ঝুঁকিমুক্ত হলেও থাকতে পারে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ১৩:১৩

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ওড়িশায় আঘাত হানার আগেই সকাল থেকে ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের উপকূলে। প্লাবিত হয়েছে অনেক অঞ্চল। তবে এখন আর ইয়াসের সরাসরি কোনো প্রভাব দেশে নেই। জোয়ারের ফলে প্লাবিত অঞ্চলে আরও কিছু সময় পানি থাকবে।

অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের ওড়িশাতে আঘাত হেনে উপকূল অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত হলেও এ থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব বুধবার দিনভর থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ভারতের স্থানীয় সময় বুধবার সকাল ৯টার কিছু পরই ওড়িশায় আছড়ে পড়তে থাকে ইয়াস। ওড়িশার উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে ইয়াসের আছড়ে পড়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ওড়িশায় আঘাত হানার আগেই সকাল থেকে ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের উপকূলে। প্লাবিত হয়েছে অনেক অঞ্চল। তবে এখন আর ইয়াসের সরাসরি কোনো প্রভাব দেশে নেই। জোয়ারের ফলে প্লাবিত অঞ্চলে আরও কিছু সময় পানি থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঝুঁকিমুক্ত একদিক দিয়ে আমরা, যেহেতু বাতাস তেমন আর হবে না। তবে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাব থাকবে সারা দিন। এটা বিকাল নাগাদ থাকবে।’

একে জোয়ার নাকি জলোচ্ছ্বাস বলতে হবে, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাগরে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর জোয়ার হয়। তবে ঝড়ের কারণে সেটা বেড়ে গিয়েছে।’

দেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ধামড়ার উত্তর এবং বালাসোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলা এবং এগুলোর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৬ ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কামুক্ত কি না, তার জবাবে আবহাওয়াবিদ শাহীনুল বলেন, ‘এখন যেহেতু জোয়ার চলছে, কিছুক্ষণ পর বাতাস শুরু হবে। আর বাতাস শুরু হলেই পানিটা আস্তে আস্তে নেমে যাবে। তবে এই বাতাসের গতিবেগ তেমন থাকবে না।

‘এখন যেহেতু সাইক্লোন চলে যাচ্ছে, সারা দিন এর প্রভাব থাকবে। বাতাস থাকবে মোটামুটি। তবে ভাটা শুরু হলে পানি কমা শুরু হবে। সাধারণত ছয় ঘণ্টায় পানি নামার কথা থাকলেও এখন একটু বেশি সময় লাগবে। আবার নামতে নামতে যদি জোয়ার আসে তবে জলাবদ্ধতা শুরু হবে।’

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুরে। বরিশাল ও খুলনাতে বৃষ্টির পরিমাণ একটু বেশি থাকবে।

এর আগে ইয়াসের কারণে মঙ্গলবার দুপুরেই সতর্কসংকেত বাড়িয়ে দেয় অধিদপ্তর। উপকূলের অনেক অংশ উঁচু জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর