গৌতম বুদ্ধের অহিংস বাণী ‘পৃথিবীর সকল প্রাণী সুখী হোক’ স্লোগান নিয়ে বুধবার সকালে প্রতীকী শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদ।
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের মাঝে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা সব ধর্মের মর্মবাণী। বৌদ্ধ ধর্ম একধাপ এগিয়ে সমস্ত জীবের কল্যাণের কথা বলেছে৷ আমরা যদি সবাই ধর্মের মর্মবাণী বুকে ধারণ করে সেটি অনুসরণ করি, তাহলে পৃথিবীতে হানাহানি থাকত না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী অনেকগুলো যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মাঝেমধ্যে যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সেটি সব সময় আমাদের সরকার কঠোর হস্তে দমন করেছে। ভবিষ্যতে কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালায় তাদেরও কঠোর হস্তে দমন করা হবে ।’
বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে ১৯৯৮ সাল থেকে শাহবাগে শান্তি শোভাযাত্রার আয়োজন হয়ে আসছে। করোনা সংক্রমণের তীব্রতায় গত বছর শোভাযাত্রা বের হয়নি।
বুধবার শান্তি শোভাযাত্রা ছাড়াও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মহাসচিব শ্রীনির্মল কুমার চ্যাটার্জিসহ অনেকে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বড়ুয়া।
শোভাযাত্রার শুরুতে বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের পক্ষ থেকে ১০টি পরিবারকে মানবিক সহায়তা দেয়া হয় । এসব পরিবারের হাতে সহায়তা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। পরিষদের পক্ষ থেকে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মের মোট ২৫০ পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। এদিন গৌতম বুদ্ধ জন্ম, বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এ কারণে সারা বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনটি তাৎপর্যপূর্ণ। দিনটি মহাসমারোহে পালন করতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রতিটি বিহারে প্রার্থনা, পিণ্ডি দান ধর্মদেশনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।