বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুপুরে ওড়িশায় আঘাত হানবে ইয়াস

  •    
  • ২৬ মে, ২০২১ ০০:৪৪

‘বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ইয়াস ভারতের ওড়িশা রাজ্যে এবং পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় আছড়ে পড়তে পারে। অনেক বড় মাপের সাইক্লোন হওয়াতে সঠিক সময় জানানো সম্ভব না। আমাদের দেশে ভোর থেকেই ইয়াসের প্রভাব শুরু হবে।’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার দুপুরে ভারতের ওড়িশাতে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতের আবহাওয়াবিদরা।

আলীগড় আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার দুপুরে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে আঘাত হানবে ইয়াস৷ মঙ্গলবার রাতে এটি বালেশ্বর থেকে ২৮০ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের মেদেনীপুর জেলা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ছিল।

প্রথমে ইয়াস পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানবে বলে মনে করা হলেও পরে তা সরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সীমানা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে।

ইয়াসের প্রভাব ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে। উপকূলের অনেক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ওড়িশায় আঘাত হানার আগেই বুধবার সকালে ঝড়ের প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের উপকূলে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ইয়াস ভারতের ওড়িশা রাজ্যে ও পশ্চিমবঙ্গের দীঘায় আছড়ে পড়তে পারে। অনেক বড় মাপের সাইক্লোন হওয়াতে সঠিক সময় জানানো সম্ভব না। আমাদের দেশে ভোর থেকেই ইয়াসের প্রভাব শুরু হবে।’

নাজমুল আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ইয়াসের প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপকূলের অনেক অঞ্চল। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর সেটি আরও বেড়ে যেতে পারে। তবে সরাসরি আমাদের এখানে আসবে না।’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কেন্দ্রে তার শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে। মঙ্গলবার এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার থেকে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ছিল, যা পরবর্তী সময়ে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দুপুরেই ইয়াসের দূরত্ব কমে আসায় সতর্ক সংকেত বাড়িয়ে দেয় অধিদপ্তর। উপকূলের অনেক অংশ উঁচু জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে ছয় ফুট বেশি উচ্চতার জোয়ারে প্লাবণ হতে পারে। ইতিমধ্যে কয়েকটি অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘এখন ঝড়ের যে গতিপথ, তাতে এটির আমাদের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই। তবে এর প্রভাব পড়বে। ঘণ্টায় আট থেকে ১০ কিলোমিটার গতিতে এগোচ্ছে ইয়াস।’

তিনি বলেন, ইয়াসের প্রভাবে বাংলাদেশের খুলনাসহ উপকূলীয় এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি জোয়ারের পানি আসবে আর সঙ্গে থাকবে দমকা বাতাস ও ঝোড়ো হাওয়া।

আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামে এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

ইয়াস সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

হাফিজুর বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার দুপুর নাগাদ উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন নেত্রকোণায় ২২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ বিভাগের আরো খবর