গবেষণাধর্মী প্রকল্পের মাধ্যমে যদি রাষ্ট্র লাভবান না হয়, তাহলে সেটি বাস্তবায়নের কোনো অর্থ নেই বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার রাজধানীর মৎস্য ভবনে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাগুলোর এপ্রিল পর্যন্ত অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এ পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গবেষণাধর্মী প্রকল্পের মাধ্যমে রাষ্ট্র লাভবান না হলে সে প্রকল্প নেয়ার কোনো অর্থ হয় না। এজন্য প্রকল্প শেষে এর ফলাফলের সঙ্গে যাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করা যায় সে বিষয়টি মাথায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সভায় প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প পরিচালকদের আবশ্যিকভাবে প্রকল্প এলাকায় অবস্থান করে প্রকল্পের কাজ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রকল্প এলাকায় না থাকলে গুণগতমানের কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায় না।’
প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অনিবার্য কারণে প্রকল্পের সময় বাড়ানো হলেও অর্থ কোনভাবেই বৃদ্ধি করা হবে না।’
করোনাকালে মৎস্য খাতকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে অভিহিত করেন মন্ত্রী। বলেন, মানুষের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মিটিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ খাত ভূমিকা রাখছে।
‘মৎস্য খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আশাবাদী। এজন্য করোনাকালেও মৎস্য খাতের সকল প্রকল্প তিনি অনুমোদন দিয়েছেন। এ বিষয় বিবেচনায় রেখে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে নিষ্ঠাবান হতে হবে। প্রকল্পের কাজে কোন ধরনের ফাঁকি দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নীলুফা আক্তার, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক এবং পরিকল্পনা কমিশন ও আইএমইডির প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য উপখাতে মৎস্য অধিদপ্তরে বাস্তবায়নাধীন ১৩টি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৪টি, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ৩টি এবং মন্ত্রণালয়ের একটিসহ মোট ২১টি প্রকল্পের এপ্রিল পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
এ প্রকল্পগুলোর আর্থিক অগ্রগতি ৬৯.০২ শতাংশ, যেখানে জাতীয় গড় অগ্রগতি ৪৯.০৯ শতাংশ।