কৃষি ব্যাংক থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী আব্বাসের ৮৫ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৪৮ কোটি টাকা সুদ মওকুফের নথি তলব করেছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে সুদ মওকুফের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
‘অবৈধভাবে বিএনপি নেতার ৪৮ কোটি টাকা সুদ মাফ’ শিরোনামে গত ৫ মে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ওই সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিটকারী আইনজীবী চঞ্চল কুমার বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি এবং সুদ মওকুফের সিদ্ধান্তের নথি তলব করেছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চঞ্চল কুমার বিশ্বাস জানান, পত্রিকার খবর অনুসারে কৃষি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের ৭৪০তম সভায় অনারোপিত সুদের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ ৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার এবং স্থগিত সুদ ৪১ লাখ ৪২ হাজারের অর্ধেক ২০ লাখ ৭১ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা সুদ মওকুফ করা হয়।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক দশক আগে ব্যবসার জন্য কৃষি ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী আব্বাস। তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হলো মেসার্স আব্বাস ট্রেডিং। ঋণ পরিশোধ না করায় দুই বছর পর অর্থঋণ আদালতে মামলা হয়েছিল।
ওই টাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনও মামলা করে। কিন্তু দুটি মামলার কোনোটি নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই কৃষি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই ঋণের প্রায় ৪৮ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে দিয়েছে। অবৈধভাবে এই সুদ মওকুফের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে।