বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াস দিক বদলালে শুরু হবে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া

  •    
  • ২৪ মে, ২০২১ ১৪:০৯

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি ল্যান্ডফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটি দিক পরিবর্তন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা উপকূলের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেব।’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে আছে। এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের ওড়িশার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঝড়টি দিক পরিবর্তন করলে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুপুরে এক জরুরি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। তাই এটি সুপার সাইক্লোনে রূপ নিতে পারেনি। এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখনও স্বস্তিতে আছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

‘সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এখনও অতটা শক্তিশালী হতে পারেনি। তাই এটিকে এখনও সুপার সাইক্লোন বলা যাবে না।’

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ওড়িশার উপকূল থেকে ৫০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দূরে আছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটির অবস্থান উত্তর-পশ্চিম দিক এবং সরাসরি ওড়িশার দিকে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের অবস্থান যদি অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে এটি বাংলাদেশের উপকূলে কোনো প্রভাব ফেলবে বলে মনে হচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘এটি ওড়িশাতে আঘাত করার পরে ডায়ামিটারটা ৩৫০ কিলোমিটার এবং কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার হবে। সেইভাবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপটা বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানবে না। দেশের ওপর দিয়ে হয়তো মেঘ এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’

তবে সরকার ‘রিলাক্স মোডে’ থাকতে চায় না। সরকারের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়টিকে কঠোর পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এটি ল্যান্ডফল না হওয়া পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব। যদি কোনো কারণে এটি দিক পরিবর্তন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা উপকূলের লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেব।’

বর্তমান যে অবস্থায় আছে তাতে উপকূলকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় থাকলে বাংলাদেশের জন্য এটি আর বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টির ডিরেকশন আছে সোজা পশ্চিম দিকে। বাংলাদেশের অবস্থান হলো উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে। এটি যদি কোনো কারণে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে এবং এটির গতিবেগ যদি বাড়ে বর্তমানের চেয়ে এবং বাংলাদেশের উপকূলের নিকটবর্তী হয়, তখন আমরা একেবারে মহাবিপদসংকেত দেব। তখনই দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেব।’

উপকূলের সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনগণকে জানানো হয়েছে প্রস্তুত থাকার জন্য, যাতে বিপদসংকেত পাওয়ামাত্রই তারা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটে যেতে পারে।’

সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সব স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছেও বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর