দেশের নাগরিকদের ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন ফি, খতিয়ান ফিসহ যাবতীয় ফি পরিশোধে অ্যাপ্লিকেশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
অনলাইনে ভূমি ফি পরিশোধে মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ, উপায় এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে সোমবার এক সমঝোতা স্মারক সই করেছে মন্ত্রণালয়।
এই প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে ইউসিবিএল হবে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়কারী তথা সেটেলমেন্ট ব্যাংক। বাংলাদেশের নাগরিকরা উপায়, নগদ, বিকাশ ও অন্য পেমেন্ট গেটওয়ে চ্যানেলের মাধ্যমে তাদের জমির বিভিন্ন ফি দিতে পারবেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য দুর্নীতি কমানো ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।’
তিনি বলেন, ‘হিউম্যান টু হিউম্যান টাচ কমাতে চাচ্ছি। আমরা স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা এই তিনের সমন্বয়ে মন্ত্রণালয়ের কাজ এগিয়ে নিতে চাই।’
দেশের জনগণকে সেবা দেয়া ও সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্য নিয়ে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান ভূমিমন্ত্রী।
বর্তমানে ভূমিকেন্দ্রিক নানা সেবা ডিজিটাইজেশন করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে ই-পরচা (খতিয়ান), ই-নামজারি (ই-মিউটেশন) ও ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) তথা জমির খাজনা। জমির অন্য সেবাগুলো পর্যায়ক্রমে অনলাইনের আওতায় আসবে।
পুরো বিষয়টি ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকবে। ফি পরিশোধের পর ভূমির সেবাগ্রহীতারা কিউআর কোড যুক্ত রশিদ পাবেন।
উপায়, বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে আদায় করা অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে সেটেলমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ভূমি মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্ট হয়ে ই-চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হবে।
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যা করছি, পুরো বিষয়টিকে আমরা টেকসই করতে চাই।’
তিনি জানান, ভূমি সেবাকে আরও সহজ করতে উপজেলা থেকে শুরু করে শপিংমল পর্যন্ত কিয়স্ক বসানোর কথা ভাবছে সরকার।
এর মধ্য দিয়ে ২০ টাকার বিনিময়ে কিয়স্ক থেকে পরচা (খতিয়ান) পাওয়া যাবে। তবে সেটা আনসার্টিফাইড হবে বলে জানান তিনি।
ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনলাইন সেবা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন শেষে সেবাটি গ্রহণ করা যাবে।